প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ ‘অদম্য নারী পুরস্কার–২০২৫’ অর্জন করেছেন মতলব উত্তর উপজেলার কৃতি মেয়ে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রোমানা পাপড়ি। শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ ও ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল ইসলাম সরকার।মতলবের আদুরভিটির ভুইঁপুর গ্রামের কন্যা রোমানা পাপড়ির শিক্ষাজীবন অত্যন্ত উজ্জ্বল। বাবা মৃত আমির হোসেন মাস্টার এবং মা শিরীনা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট।
তার বাবা ইমামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৬ সালে ছেংগারচর উচ্চ বিদ্যালয় (এসএসসি), বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ (এইচএসসি) থেকে বিজ্ঞান বিভাগে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পেয়েছেন ডীনস অ্যাওয়ার্ড, বংশদ্বীপ মহাস্থবির স্বর্ণপদক ও প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া স্বর্ণপদকসহ একাধিক সম্মাননা।
২০২২ সালে তিনি “বৌদ্ধদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা: পরিপ্রেক্ষিত ঢাকা শহর” শীর্ষক গবেষণার মাধ্যমে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রই নয়—গবেষণা, সামাজিক সংগঠন, আন্তর্জাতিক সেমিনার ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সমানভাবে সক্রিয় তিনি। তার ১০টি পিয়ার রিভিউ গবেষণা প্রবন্ধ এবং ২৫টিরও বেশি সাময়িকী ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত লেখা রয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে রোমানা পাপড়ি বলেন, “এই সম্মান আমাকে আরও দায়িত্বশীল করেছে।
এটি শুধু আমার নয়, আমার পরিবার, শিক্ষক এবং জন্মভূমি মতলবের মানুষের অবদান। নারী মানেই শক্তি—সুযোগ পেলে মেয়েরা সমাজকে বদলে দিতে পারে। রোমানার এই অর্জনে পরিবার, সহকর্মী ও এলাকার মানুষ গর্বিত। অনেকেই মনে করছেন—তিনি আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উজ্জ্বল উদাহরণ।





