প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন নিজস্ব প্রতিবাদক চাঁদপুর: চাঁদপুর মতলব উত্তরে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক গৃহবধ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ধর্শকের সহযোগি কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানা গেছে, ১৭ মার্চ রাত পোনে বারোটায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে যায় বেড়াতে আসা গৃহবধূ সুরমা বেগম (৩৫)।
সে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার কলতা গ্রামের রানা খানের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মিঠুন কান্দি গ্রামে। ধর্ষনের শিকার সুরমা বেগম তার আত্মীয় মিঠুরকান্দি গ্রামের মুক্তা মনির বাসায় বেড়াতে আসে।স্থানীয় ও ভিকটিম সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম সুরমা বেগম মিঠুর কান্দি গ্রামের মুক্তা মনিকে বিগত ১ বৎসর আগে টাকা ধার দেয়। ওই টাকা নেওয়ার জন্য ১৭ মার্চ বিকালে ভিকটিম মুক্তা মনির বাড়িতে আসে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় ভিকটিমকে যেতে না দিয়ে মুক্তা মনির বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ করিলে ভিকটিম থেকে যায়। সে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে রাতে মুক্তামনির সহযোগিতায় বাহিরে গেলে পূর্ব থেকে উৎপাতে থাকা মিঠুরকান্দি গ্রামের আঃ মজিদ প্রকাশ টুটুল (৪৩) এর সহায়তায় মোঃ মামুন (৪৫) ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
ধর্ষন শেষে ভিকটিমকে ওই ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানালে কিংবা আইনের আশ্রয় নিলে সময় সুযোগ বুঝে ভিকটিমকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে বিভিন্ন ধরনের হুমকী ও ভয়ভীতি প্রদান করে। পরবর্তীতে ভিকটিম মুক্তা মনি (৩০) এর বসত ঘরে গিয়ে তাকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করে। এদিকে ভিকটিম থানায় গিয়ে মতলব উত্তর উপজেলার মিঠুর কান্দি গ্রামের মৃত জয়নাল আবদিন মিয়াজির ছেলে মামুন (৪৫) এবং একই গ্রামের মফিজ মৃধার ছেলে আব্দুল মজিদ টুটুল (৪৩) কে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মতলব উত্তর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষকের সহযোগী আসামী আঃ মজিদ প্রকাশ টুটুল (৪৩)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে । ধর্ষক মোঃ মামুন (৪৫)কে গ্রেফতার করতে পারেনি। মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল হক জানান,পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষকের সহযোগী আসামী আঃ মজিদ প্রকাশ টুটুল (৪৩)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষক মোঃ মামুন (৪৫) পলাতক।তাকে গ্রেফতারের নিমিত্তে বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত আছে।