প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তরের বাহেরচরে অ’বৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে কানা জহির ও কিবরিয়া গ্রুপের মধ্যে গো’লাগু’লিতে শীর্ষ ডা’কাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরসহ ১৪ জনের নামে পৃথক দু’টি মা’মলা রুজু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরআব্দুল্লাহ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বাদী হয়ে মা’মলা দু’টি দায়ের করেন।
রোববার রাতে মা’মলা দুটি নথিভুক্ত হয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান, পুলিশের কাজে বাঁধা ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গু’লি ছুড়ে হ’ত্যা চেষ্টার অভিযোগে মেঘনা নদীর শীর্ষ নৌ-ডা’কাত-জ’লদ’স্যু কানা জহিরকে প্রধান আ’সামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আ’সামি করে একটি মা’মলা দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশের অভিযানে ক’কটেল, গু’লি, চাইনিজ কু’ড়াল উদ্ধার ও স্পিডবোট জব্দের ঘটনায় অ’স্ত্র ও বি’স্ফোরক আইনে অপর আরেকটি মা’মলা দায়ের করেন চরআব্দুল্লাহ নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান। এ মা’মলায়ও কানা জহিরকে প্রধান আসা’মি করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আ’সামি করা হয়। এদিকে, গত (৫ আগষ্ট) আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে মুন্সীগঞ্জের সীমানায় পদ্মা-মেঘনা ও গোমতী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, ডা’কাতি, নৌযানে চাঁদাবা’জিতে বে’পরোয়া হয়ে উঠেছে কিবরিয়া মিজি, কানা জহির, নয়ন ও পিয়াস নামের ডা’কাত-জলদ’স্যুরা।
গত শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলার কালীরচর গ্রামে পুলিশ ও মেঘনার নৌ-ডা’কাত জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহির বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এ সময় কানা জহিরের দুই সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ডা’কাত দল পালিয়ে গেলে ১১টি ক’কটেল, এক রাউন্ড রাই’ফেলের গু’লি, একটি চাইনিজ কু’ড়াল উদ্ধার ও ডা’কাত দলের ব্যবহৃত একটি স্পিডবোট জব্দ করে পুলিশ।