মতলব উত্তরে ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে তালা ; সত্যতা পেলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

0
মতলব উত্তরের ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে তালা ; সত্যতা পেলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মতলব উত্তর প্রতিনিধি: মতলব উত্তর উপজেলার ১নং ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে তালা তালা দিয়েছে ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দ। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকরা। এতে করে পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিষদে ভয়ে আসছে না।

স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম সরকারের কক্ষে তালা দিয়েছে ষাটনল ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাহবুব মিয়াজী, সহ-সভাপতি মো. খোকন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মুক্তার হোসেন, মো. কামরুজ্জামান বাবু’র নেতৃত্বে । এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার (৩১ আগস্ট) ইউনিয়ন পরিষদের এসে পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মো. তুষার, রাফি, লিয়ন, লাবিব, সুজন, আশরাফুল সহ নেতৃবৃন্দ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. তুষার জানান, আমরা লোকের মাধ্যমে জানতে পেয়ে ছুটে এসেছি ইউনিয়ন পরিষদে। এসে দেখি পরিষদের চেয়ারম্যান কক্ষে দুটি তালা লাগানো। মাহবুব, খোকন, মুক্তার, বাবু নামের কিছু লোকজন পরিষদে তালা লাগিয়েছে। তারা এতো সাহস পেলো কোথায়। চেয়ারম্যানের সাথে তাদের কোন ঝামেলা থাকলে তারা আইনি প্রক্রিয়া যাবে, কিন্তু তারা পরিষদে তালা দিবে কেন? আমরা পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাচ্ছি, যে বা যাহারাই ইউনিয়ন পরিষদের তালা লাগিয়েছে আগামীকাল (রবিবার) এর মধ্যেই ক্ষমা চেয়ে তালা খুলে দিতে হবে, না হলে আমরা কঠিন পদক্ষেপে যাবো।

ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম সরকার জানান, আমি শুক্রবার সকালে আমার ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা চলে এসেছি, আমি লোকজনের মাধ্যমে শুনেছি কে বা কারা আমার অফিস কক্ষে তালা দিয়েছে। এ বিষয়টি আমি মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। অভিযুক্ত মাহবুব মিয়াজী জানান, আমরা ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদে কোন তালা দেইনি। তবে কিছুদিন আগে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে চেয়ারম্যন কোন নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় না করে।

এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে চেয়ারম্যানের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমা জানান, বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছে। শুক্রবার শনিবার এই দুইদিন সরকারি ছুটি থাকার কারণে সব অফিস বন্ধ ছিল, আগামীকালের মধ্যে পরিষদের তালা খুলে না দিলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here