প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরে জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি
নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ না করেই বিশেষ একটি মহলের ইশারায় বিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের কয়েক জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে এসে ফিরে গেছেন।
বিদ্যালয়ের একটি সুত্রে জানাগেছে, ১১.১২ ও ১৩ মে মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরনের দিন থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না খাকায় মনোনয়নপত্র বিতরন বন্ধ রেখে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।
গোপালপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন জানান, আমি ১১ ও ১২ তারিখে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিতে বিদ্যালয়ে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকার কারনে আমাকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়নি।
আবু হাসান জানান, আমি পর পর দু’দিন বিদ্যালয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র নিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক না খাকায় আমাকে ফিরে আসতে হয়েছে। বিদ্যালয়ের কম্পিউন্টার শিক্ষক শাহাজান আলী জানান, ভোটার তালিকায় অনেক ভুল ত্রুটি থাকার কারনেই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়নি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জরুরী কাজে ঢাকায় গিয়েছেন। মহেশপুর জি, এইচ, জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠো ফোনে কয়েক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
মহেশপুর জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার বাহাউল ইসলাম জানান, ৩০/৪/২০২৪ ইং তারিখে আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি নির্বাচনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করেছিলাম। কিন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান কি কারনে মনোনয়নপত্র বিতরন না করেই বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলেন তা আমার যানা নেই।
মহেশপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, জি,এইচ,জি,পি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান আমার কাছ থেকে কোন ছুটি নেয়নি। তবে তিনি কি কারনে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরন না করেই চলে গেলেন তা আমার জানানেই।
তিনি আরো জানান, আমার কাছে কয়েকজন মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন কিন্তু আমি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছে কয়েকবার ফোন করেছিলাম তিনি আমার ফোনটি রিসিভ করেন নি।