প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার পর এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানা যায়, রাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ মোহাম্মদ ইউনুসের মোটরসাইকেলের কর্মী-সমর্থক ও আলহাজ মোশারেফ হোসেনের আনারস মার্কার কর্মী-সমর্থকরা নিজ নিজ প্রার্থীদের সমর্থনে ইলিশা জংশন বাজারে মিছিল করে। মিছিলকারীরা ফেরিঘাট এলাকায় মুখোমুখি অবস্থানে আসলে উভয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ সময় আনারস মার্কার কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেল প্রার্থীর একটি নির্বাচনী অফিস, প্রচারের অটোরিকশা ভাঙচুর করে এবং তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও ফেরিঘাটে অপেক্ষমান আন্তঃজেলার কয়েকটি মালবাহী ট্রাক ভাঙচুর করে। আহতদের অধিকাংশই নিজস্ব ব্যবস্থায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে এরশাদ (৩৫) নামের মোটরসাইকেলের এক সমর্থককে মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, মোটরসাইকেল প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস উদ্ভোধন করতে ছিলাম। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আমি পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভোলা সদর সার্কেল) রিপন কুমার সরকার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত হোসাইন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি সবাইকে মেনে চলতে হবে। আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।