প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীকে জড়িয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচার আদৌ সত্য নয়। উপজেলার চলমান নারী কেলেংকারীর ঘটনার সাথে তার কোন ভিডিও বা কোন রকম সম্পৃক্ততা নেই বা ছিলো না।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজ বাস ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার । এ সময় বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, উপজেলাযুবলীগের আহ্বায়ক মারুফ রায়হান তপু, যুগ্ন আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান কামাল মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন,গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। দায়িত্ব নিয়ে আমি অন্যায়,অনিয়ম ও দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। এ জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। সামনে ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ তাদের লোকজন আমার জনপ্রিয়তার ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাকে নানা ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারীকে নিয়ে আমাকে জড়িয়ে কিছু নামে-বেনামে সংবাদ মাধ্যমে ভুল,বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যে বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন সেই অনৈতিক কাজে আমি কখনোই জড়িত ছিলাম না ও অতীতে ছিলাম না। এই বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত। আমি মনে করি এই নোংরা বিষয়কে নিয়ে আমাকে জনগনের থেকে দূড়ে সরাতে পারবে না। আমাকে জনগন থেকে দূরে সরানোর জন্য মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আমাদের দলের একজন নেতা আছেন।
আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি আশাকরি উপজেলার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার রক্ষার্থে এই সব নোংরা কর্মকান্ড ও অপ্রচার বন্ধ হোক। নাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের কাছে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাকে বলেছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোক।
এছাড়াও এক ইউপি চেয়ারম্যান পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন সেখানে মাস্টার মাইন্ডের কথা উল্লেখ করা আছে। ভবিষ্যতে মামলার তদন্তেবের হয়ে আসবে কে মাস্টার মাইন্ড ছিলো। কে বা কার সাথে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিওতে আমাকে জড়িয়ে প্রকাশ করার হলে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তেমন কোনো ভিডিও ও ছবি আমার নেই।
আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঈর্ষান্বিত হয়ে গত নির্বাচনের দুইতিন তিন আগে আমার প্রার্থীতা বাতিলের চেষ্টা করেছিলো। এইবার ফের ষড়যন্ত্র করে আমাকে জনগন থেকে সরিয়ে রাখবে। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ সকল ষড়যন্ত্রকারীরা আইনের আওতায় আসুক। তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানায়।