প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। উপজেলার ঈদগাহ ও মসজিদগুলোর ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে প্রতিটি ঈদগাহে ও মসজিদগুলোতে মুসুল্লিদেরকে আলিঙ্গন করে একে অপরের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
শান্তিপূর্নভাবে ঈদগাহ ময়দানে বিশাল জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসুল্লিরা।আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মহান আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাঊে আশায় মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর এই আনন্দ আয়োজনে শামিল হয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে পেশ ইমাম ও খতিবরা ঈদ জামাত পূর্ব বয়ানে মাহে রমজান এবং পরবর্তী ১১ মাসের আমল সর্ম্পকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ছেংগারচর পেরসভাসহ ১৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্নভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকাই আবহাওয়া ভালো থাকা অবস্থায় ঈদের জামাত সুন্দর মরতা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়। উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ছেংগারচর পৌরসভার বালচুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টার সময়। এটি উপজেলার মধ্যে সর্বপ্রথম এবং সবার আগে ঈদেও জামায়াত।
এখানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবু জাফর সরকার ডালিম, মোঃ দিদার মোল্লাসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সুধিবৃন্দ ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এখানে ঈদের জামাতে ইমামতি করেন এবং বয়ান ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মোঃ ওসমান গনি।
এখানে ঈদের জামাতের পূর্বে সকল মুসুল্লিদেরকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার। তিনি এসময় চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রিসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের পক্ষ থেকে পৌরবাসীকে পবিত্র ইদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান এবং এলাকার উন্নয়নে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা নামে এক মুসল্লি বলেন, দীর্ঘ এক মাস রোজা রেখে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারাটাই সব থেকে আনন্দের।
আর মোনাজাতে সবার জন্য ও দেশের জন্য দোয়া করেছি।মতলব উত্তর থানা মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টার সময়। এখানে ঈদের জামাতের পূর্বে সকল মুসুল্লিদেরকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন,মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন।শুভেচ্ছা বক্তব্যে (ওসি) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন বলেন, এবারের ঈদ খুবই সুন্দরভাবে মানুষ পালন করছে। মানুষ সস্তিতে নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরেছে। ঈদের এ ছুটিতে সাধারণ মানুষের জানমালেরনিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঈদের জামাত নিয়ে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। আপনারা সামান্য তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারামারিতে জরাবেনা। সবাই শান্তিপর্ন অবস্থান বজায় রাখুন এবং আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের সাথে ভালোভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন।এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন,সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন খান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ শাহ আলম প্রধান,সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোঃ শরুজ মিয়া লস্কর, এসআই মিজানুর রহমান,শাহ আলম লস্কর,সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সুধিবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঈদের জামাতে ইমামতি করেন এবং বয়ান ও মোনাজাত পরিচালনা করেন,মতলব উত্তর থানা মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ নেওয়াজ শরীফ।উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান ছেংগারচর ইমাম উদ্দিন নূরী (রাঃ) মাদ্রাসা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সকাল সাড়ে ৯টার সময় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব শরীফ উল্লাহ দর্জিবোরহান উদ্দিন নান্টু নূরী, শরীফ উদ্দিন টুটুল নূরী, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজ্বী মনির বেপারী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শাহজাহান সরদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম দর্জি, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সুধিবৃন্দ ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রমূখ।
ঈদের জামাতে ইমামতি করেন এবং বয়ান ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ মোঃ তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী।এদিকে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে ঈদের জামাত আদায় করতে পেরে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন উপজেলার সকল মুসুল্লিরা। ঈদের
নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। সেই সঙ্গে দেশের সুখ, শান্তি,সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে অনাবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সব মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়।