চরফ্যাশনে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার এলপিজি গ্যাস, ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা

0
চরফ্যাশনে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার এলপিজি গ্যাস, ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহরসহ বড়-ছোট বাজারে কিংবা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ছে সিলিন্ডার ভর্তি লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ব্যবহার। এ কারণে যত্রতত্র দোকানগুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি এলপিজি গ্যাস। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করেই উন্মুক্ত অরক্ষিত ভাবে রেখে প্রসাশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যবসা।

অভিযোগ রয়েছে নিম্ম মানের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি যাহা ঘটতে পারে যে কোন মুহুর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা সহ হতাহতের মত ঘটনা। সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে চরফ্যাশন উপজেলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুদি দোকান, জুতার দোকান, খাদ্যের দোকান, ফ্লেক্সি লোডের দোকান, প্যোট্রল ডিজেল বিক্রির দোকানসহ রাস্তার সাইডে খোলা জায়গায় উন্মুক্ত ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে ঐ সব গ্যাস সিলিন্ডার। এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য বিষ্ফোরক অধিদপ্তরের কোন লাইসেন্স না থাকলেও যত্রতত্র সিলিন্ডার বিক্রি করছেন তারা।

যে খানে অধিকাংশ দোকানীর কাছে নেই ফায়ার সার্ভিসের কোন অনুমতি পত্র কিংবা অগ্নি নিরাপক যন্ত্র। বিষ্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর অধিনে গ্যাস সিলিন্ডার বিধি মালা ২০০৪ এর ৬৯ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০ টি গ্যাস পন্যের সিলিন্ডার মজুদ করা জাবে না। তবে বিধি ৭০ ধারা অনুযায়ী এসব সিলিন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ পরিমান অগ্নি নিবারক যন্ত্রপাতি এবং নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে।

নিরাপত্তা বিবেচনায় বলা আছে জনপদ থেকে কম পক্ষে ১০০ মিটার দূরে সিলিন্ডার বিক্রয় কেন্দ্র করতে হবে। এমনকি সিলিন্ডার গ্যাস স্থাপনা প্রাঙ্গনে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোন বস্তু বা সরঞ্জম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। চরফ্যাশন স্টেশন অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জ্বালানি বা গ্যাস সিলিন্ডার এধরনের বিষ্ফোরকদ্রব্য থাকলে বিষ্ফোরক অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নেওয়া লাগে।

চরফ্যাশনে অধিকাংশ দোকানীর এ ধরনের কোন লাইসেন্স নেই। দেখা যাচ্ছে মাকের্ট ও শপিংমলের ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে। গ্যাস সিলিন্ডার খোলা জাগায় রাখা নিরাপদ। কারণ যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে বা অগ্নিকান্ড ঘটে এই সিলিন্ডারের কারণে কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। তাই অবশ্যই গ্যাস সিলিন্ডার খোলা জাগায় বা যেখানে মাকের্ট নেই সেখানে রাখা উচিত।

আমরা পরিদর্শনে গেলে তাদেরকে পরামর্শ দেই এবং এসব বিষয়ে সতর্ক করি। গ্যাস সিলিন্ডার মাকের্টের মধ্যে ও শপিংমলের বিক্রি করা বেআইনি। আমরা তাদেরকে অগ্নি নিবারক যন্ত্রপাতি এবং নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখতে পরামর্শ দেই। তারা কেউই অগ্নি নিবারক যন্ত্রপাতি এবং নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখছেন না। রমজানের ঈদের পর এ বিষয়ে আমাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here