প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামরুজ্জামান হারুন: মাইজভাণ্ডার শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী বলেছেন, ২১শে রমজান মহিমান্বিত এক দিবস ।যে দিন মওলা-এ-কায়েনাত, শেরে খোদা, মুশকিল কোশা হযরত মওলা আলি (রাঃ) শাহাদাত বরণ করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন।
তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ। প্রিয় নবিজী (সা.) এর প্রেমে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগে, যখন প্রিয় নবিজী (সা.) এর পাশে কেউ ছিলেন না, তখন হযরত আলি (রাঃ) ছায়ার মত লেগে ছিলেন। আমাদের প্রিয় নবিজী (সা.) হলেন জ্ঞানের শহর আর হযরত আলি (রাঃ) হলেন সেই জ্ঞানের রাজ্যে প্রবেশের দরজা। হযরত মওলা আলি (রাঃ) এর অনুসরণ ব্যতীত কেউ সেই জ্ঞানের শহরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ তিনি বলেন,মওলা আলি (রাঃ) হলেন মু’মিন ও মুনাফিক চেনার আয়না।
মু’মিনরা মওলা আলি (রাঃ) কে ভালোবাসবে আর মুনাফিকরা তার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবে। প্রিয় নবিজী (দ) তাকে মু’মিনদের অভিভাবকরূপে নির্ধারণ করেছেন।”সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আরো বলেন, “তিনি ছিলেন এমনই একজন মহাবীর, যাকে প্রিয় নবিজী (সা.) ‘শেরে খোদা’ বা ‘আল্লাহর সিংহ’ উপাধি দিয়েছেন এবং নিজের ‘যুলফিকার’ নামক তরবারি উপহার দিয়েছেন।
৩১শে মার্চ,গাজীপুর সিটির জয়দেবপুর আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া খানকা শরীফের উদ্যোগে হযরত মওলা আলি (রা.) পবিত্র শাহাদাত দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন,নবুয়্যতের সমাপ্তি ঘটলেও মওলা আলি শেরে খোদা (রাঃ) কে আমাদের প্রিয় নবিজী (সা.) সেই বেলায়তের সিংহাসনে বসিয়েছেন।
তার অনুসরণের মাঝেই সত্য পথের পথিকরা পৃথিবী ও আখিরাতের জীবনে মুক্তির পথ খুঁজে পাবে।আলোচক ছিলেন, মওলানা আবু তালেব মঈনী, মওলানা ইয়াসিন আনসারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূইয়া চাঁদপুরী, মুফতি মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা নাজের হোসাইন, শায়ের মনসুর আলী প্রমুখ ।