‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’

0
‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মো: মাহফুজুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: বাজারে দ্রব্য মূল্য অসহনীয় পর্যায় আছে। পোল্ট্রি সাদাটা বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৩০ টাকা করে। সোনালীর কেজি ৩৪০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৮৫০ টাকা। জ্বি। আপনি দামাদামি করার কোন সূযোগ-ই পাবেননা। কসাই ব্যাটা আপনার দিকে তাকাবেইনা। ভারী দম্ভ তার। মাছের গায়ে আগুন। তেলাপিয়ার কেজি ৩০০ টাকা! রুই-কাতল-মৃগেল এইমুহুর্তে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাবদা ৫০০ টাকা।

ছোট চিংড়ি খুঁজছিলাম লাউ দিয়ে খাবো বলে, দাম শুনে ইজ্জত সহ কেটে পড়েছি। লেবু ২০০ টাকা হালি! এত রস কোথায় যাবে? ছোট একটুকরো কুমড়ো কিনেছি ৭০ টাকা দিয়ে। কাটার পর সেই কুমড়ো টুকরোর সাইজ দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো। লেবু ছোট সাইজেরটা হালি আশি টাকা, আর সাইজে বড় ২০০ টাকা ! এক জায়গায় দেখলাম দোকানী চিৎকার করে টমেটো বিক্রি করছে, তিন কেজি একশ! আগ্রহ নিয়ে তার দোকানে গেলাম। টমেটোর রকম দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো, এই জিনিস গরুও খাবেনা। প্রত্যেকটা তরকারীর দাম বাড়তি।

শসা আর গাজর পাশাপাশি টুকরিতে বসে অহংকারী দৃষ্টিতে আকাশ দেখছে। যা দাম তাতে এই অহংকারটুকু তাদের মানায়। খেজুর কিনিনি। দাম জিজ্ঞেস করার সাহস-ই পাইনি। মুড়ি ১৪০ টাকা! আমি চাপাস্বরে বললাম, কম দামেরটা দেখান। ছোলা, বেসন, মশুরির ডাল গাল ফুলিয়ে বসে আছে, আমি পাত্তা দিলামনা। রোজার প্রাথমিক ঝাপটাটা যাক তারপর দেখবো। চিনি কিনছি আধা কেজি। এরপরেও মানুষ কি কিনছেনা? কিনছে।

কিন্তু প্রত্যেকটা জিনিস কেনার পর বাতাসে কান পাতলে তাদের দীর্ঘনি:শ্বাসও শোনা যায়। সেই দীর্ঘনি:শ্বাস বড় ভারী। মুনাফালোভী ব্যবসায়ী আর ক্ষমতা অপব্যবহারকারী চোরদের কানে সেই দীর্ঘনিঃশ্বাস পৌঁছায়না। আল্লাহ অন্তরের সাথে সাথে তাদের কানেও সিলমোহর মেরে দিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here