প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিতর্ক যেন এখনো পিছ ছাড়ছেনা। দিন যতই যাচ্ছে বিতর্ক ক্রমে ততই ঘনীভুত হচ্ছে। প্রতিবাদ সভা থেকে শুরু করে ইতোমধ্যে হাইকমান্ডেও প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ ও আপত্তিপত্র দাখিল করেছে পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতারা।
অভিযোগপত্র দাখিলকারীরা তাদের আপত্তি পত্রে উল্লেখ করেন,যারা জামায়াতে ইসলামির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত,রাজাকারের উত্তরসূরী এবং বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না তাদেরকেই পদ দেয়া হয়েছে। তারা পূর্ণঃতদন্ত সাপেক্ষে কমিটি ঘোষণার অনুরোধও জানান ওই পত্রে। অভিযোগপত্র দাখিলকারীদের মধ্যে ১৯নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে যাকে মনোনীত করা হয়েছে জসিমউদ্দিন জসু সে একজন রাজাকার পুত্র। তার পিতা ইসহাক মিয়া ছিলেন সোনাকান্দা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।
দেশবরেণ্য লেখক মুনতাসির মামুনের ‘‘শান্তি কমিটি ১৯৭১’’বইটিতে তার পিতার কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। সর্বোপরি ১৯৭১ সালের ১২ মে দৈনিক আজাদী পত্রিকায় দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হয় সেই তালিকাতে সোনাকান্দা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে জসু’র পিতার নাম পরিস্কারভাবে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া দলের বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে জসিমউদ্দিন জসু’র কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি।
তাকে কোন যোগ্যতা বলে ওই পদে আসীন করা হয়েছে তার বিস্তারিত ফিরিস্তি দাখিল করেছে। সাধারণ সম্পাদক পদে ঘোষণা দেয়া সাহাবুদ্দিনকে নিয়েও এই ওয়ার্ডের অনেকেই দ্বি-মত পোষণ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে সাহাবুদ্দিন একজন চরিত্রহীণ। মিনু নামে এক নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘ দিন অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে স্থানীয় এক রিকশা চালকের স্ত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বেশ কিছুদিন গাজীপুর এলাকায় বসবাস করেন। দলের দুর্দিনে সাহাবুদ্দিনের কখনো সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই ওয়ার্ডে সভাপতি প্রার্থী হাজী আলমগীর হোসেন একজন উচ্চ শিক্ষিত,এমএসসি পাশ এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
দলের যে কোন কর্মসূচীতে তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। দলের জন্য তিনি উদার এবং নিবেদিত। ১৯৮৩সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই তার যাত্রা শুরু হয়। আলমগীর হোসেনের রাজনৈতিক পদবিন্যাসের মধ্যে রয়েছে সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক,১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,মদনগঞ্জ ধান ও চাউল বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক,নয়াপাড়া পঞ্চায়েত কমিটি এবং মদনগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক,নারায়ণগঞ্জ জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালণ করছেন। অপরাপর সভাপতি প্রার্থী ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর।
১৯৯১সালে বাদল-হেলাল পরিষদের সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে তার রাজনীতিতে আগমন ঘটে। পরবর্তীতে বন্দর থানা আওয়ামীলীগেরও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক হন তিনি।সাগর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের দুই দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালণ করেছেন। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যতিতও সে লক্ষারচর উত্তর পাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণসম্পাদক,মদনগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও মদনগঞ্জ ফুটবল একাডেমির বর্তমানেও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তার পিতা ফিরোজ কমিশণারও আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত ছিলেন।
দলের সব ধরণের কর্মকান্ডে তার উপস্থিতিও লক্ষ্যনীয়। সাগরের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। ২০নং ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দও হাইকমান্ডে অভিযোগ করেছেন জোরালোভাবে। তাদের অভিযোগ,সভাপতি পদে যাকে দেয়া হয়েছে তাকে নিয়ে কারো আপত্তি নেই। কেননা তিনি একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বিভিন্ন জাতীয় দিবস রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সে অনেকটা সক্রিয় এবং হিসেবেও সভাপতি হিসেবে যোগ্য সোহেল করিম রিপন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসাদুজ্জামান খোকনকে মনোনীত করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুল সিদ্ধান্ত। তার পূর্ব পুরুষদের কেউ আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে কখনোই জড়িত ছিলেন না।
সে নিজেও রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী। ২০২০সালে সে নৌ শ্রমিক হিসেবে নদীপথে চাঁদাবাজীতে সক্রিয় ছিল। এরপর ভাগ্যগুণে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। দু’চারটি সভা সমাবেশে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে শো-ডাউন দেখিয়ে খোকন সাহার কাছে তিনি রাজনৈতিক হিরো বনে যান। আর সে থেকেই আসাদুজ্জামান খোকন, খোকন সাহার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তাকে ওই পদে আসীন করা হয়েছে। খোকন সাহার আস্থাভাজন ছাড়া তার আর কোন যোগ্যতা নেই।
এখানে খোকন সাহার স্বজনপ্রীতি-অনিয়ম আর দুর্ণীতি পরিস্কার হয়ে উঠেছে। এই ওয়ার্ডে অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন একাধিক। এর মধ্যে সভাপতি প্রার্থী সহিদুল হাসান মৃধা,সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন ও সাইফুল ইসলামের নাম অন্যতম। সহিদুল হাসান মৃধার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অনুযায়ী ১৯৭৮ সালে চাচা আহসানউল্লাহ মৃধার হাত ধরেই তার রাজনীতিতে পদার্পণ। পরবর্তীতে ১৯৮৫/৮৬ সালে সোাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালণ করেন। জিয়াউর রহমানের হা না নির্বাচনকালীন পুলিশী হামলার শিকার হন।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশী হামলা-মামলার শিকার,১৯৯৬ সালে বিএনপি একতরফা নির্বাচনের চেষ্টাকালে তৎসময় সোনাকান্দা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। এ সংক্রান্তে থানায় তাকে আসামী করে মামলাও হয়। ২০০১সালে বিএনপির একটি মামলায় আসামী হন তিনি। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলার পর সারাদেশ অচল করে দেয়া হয়। ওই ঘটনায় তকেও আসামী বানানো হয়।
বিভিন্ন সময়ে তিনি সোনাকান্দা হোয়াইট ক্লাবের সভাপতি,সোনাকান্দা বড় মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা,সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চার চারবারের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়কসহ আরো বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয় রয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন নূরও অনেকটা যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে বাদ পড়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মাষ্টার্স। ১৯৮৬-৮৭ সালে সরকারি তোলারাম কলেজে বাদল-হেলাল পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি রাজনীতিতে পদচারণা করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে সোনাকান্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যকরি সদস্য,৯১সালে বন্দর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,৯৭ সালে সোনাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,২০০৪ সালে বন্দর থানা যুবলীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আহবায়ক কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করেন। পাশাপাশি বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,সোনাকান্দা হোয়াইট ক্লাবের নাট্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও রঙ্গম নাট্যগোষ্ঠীর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
একই পদে আগ্রহী সাইফুল ইসলামও উচ্চ শিক্ষিত কম নন। বি এ সম্পন্ন করেছেন তিনি। সাইফুল বন্দর থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি মূলতঃ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। অন্যদিকে ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে সবচেয়ে বড় রকমের দুর্ণীতি হয়েছে। এখানে পদ বন্টন করা হয়েছে এক্টিভিটিস কিংবা রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এনালাইস করে নয়। দেয়া হয়েছে খোকন সাহা আর আনোয়ার হোসেনের আস্থাভাজন হিসেবে। এই ওয়ার্ডে যাকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সে সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। কারণ সে অর্ধশিক্ষিত এবং একজন সামান্য মুদী দোকানী।
তা’ও আবার রাস্তার উপরে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান দিয়েছেন। যার মধ্যে একটি দোকান তুলে গ্যারেজও ভাড়া দিয়েছেন। একদিন দোকান না চালালে তার পেট চলবে না। পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তাছাড়াও সে দীর্ঘ দিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে তার চুল পরিমাণও ভূমিকা ছিলনা। এ ওয়ার্ডে সভাপতি পদে সর্বাগ্রেই যিনি যোগ্যতা সম্পন্ন তিনি হচ্ছেন নাজমুল হাসান আরিফ। যদিও ১৯৯১সালে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন মূলতঃ বন্দর থানা ছাত্রলীগকে বিগত ২০০৫ সাল থেকেই সভাপতির পদে আসীন হয়ে সুচারুভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আরিফের শিক্ষাগত যোগ্যতাও সবার চেয়ে উপরে।
ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এম কম কমপ্লিট করেছেন। তার সমকক্ষ দ্বিতীয়জন নেই বললেই চলে এ ওয়ার্ডে। দলের আন্দোলন সংগ্রামে আরিফের অগ্রণী ভূমিকা সবার কাছেই দৃশ্যমান। ২০১৭ সালে ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালণ তিনি করেছেন। আরিফ পারিবারিকভাবেই আওয়ামী রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। তার পিতা এম এ কাশেমও আওয়ামীলীগের থানা কমিটির কার্যকরি সদস্য ছিলেন। তার বড় ভাই কামরুল ইসলাম একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা ছিলেন। তার আরেক বড় ভাই সামসুল হাসান বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালণ করেন।
রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়াও নাজমুল হাসান আরিফ বিভিন্ন সময়ে বন্দর শাহী মসজিদ ইসলামিয়া ডিগ্রী মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি,বন্দর ৯নং কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি,বন্দর শাহী মসজিদ কমিটির কার্যকরি সদস্য,সামাজিক কল্যাণ সংস্থা ফ্রেন্ডস ভিশন’র সাধারণ সম্পাদক,বসুন্ধরা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক,জনকল্যাণ সমিতি ও সাধারণ পাঠাগারের সহ-সভাপতি এবং মানব সেবা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করে আসছেন।
অপরদিকে মনিরুজ্জামান খোকন। যাকে দেয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। মনিরুজ্জামান খোকনের রাজনৈতিক বয়স ৫বছরেরও কম হবে। সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য পদেও থাকার যোগ্যতা অর্জণ করতে পারেনি কখনো। শিক্ষাগত যোগ্যতাও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। তার দুই ভাই যথাক্রমে মামুন শেখ (গধসঁহ ঝযধশ) ও আল ইসলাম শেখ(অষরংষধস ঝযধশ)জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় সদস্য। প্রতিনিয়তই তারা সরকার বিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে তাদের ফেসবুক আইডি থেকে (যার প্রমাণও রয়েছে)।
মনিরুজ্জামান খোকনের শ্বশুর বেশ কিছুদিন আগে ১৫নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর হিসেবে নাশকতা মামলায় সদর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল খাটেন। কোনভাবেই সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো ম্যারিট খোকনের নেই বলে বিজ্ঞ মহল মনে করছে। এই ওয়ার্ড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বন্দর থানা যুবলীগের দীর্ঘ দিনের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালণ করে আসা রনাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক রেজাউল করিম রাজা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিন মিয়াকে।
তারা দু’জনই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। অথচ কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসা কোথাকার কোন মনিরুজ্জামান খোকন এবং ঝিমিয়ে থাকা রাজনৈতিক কর্মী সালাউদ্দিনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করে আনোয়ার হোসেন ও খোকন সাহা এক মহা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, আওয়ামীলীগ কোন ঠুনকো দল নয়।
এ দলে হুট করেই কাউকে পদ দিয়ে দেয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। বিচার বিশ্লেষন করে যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদেরকেই নেতৃত্বে আসীন করা উচিত। তুলনামূলকভাবে যাদেরকে পদবঞ্চিত করা হয়েছে তারাই যোগ্যতা সম্পন্ন এবং যাদেরকে পদে আসীন করা হয়েছে তারা কেবল অযোগ্য নয় অথর্বও বটে। গভীর তদন্তের মাধ্যমে কমিটি গুলো পূর্ণঃগঠন করা বাঞ্চনীয়।