প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। এই নির্বাচন ছিল গণতন্ত্র রক্ষা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে একটি মাইলফলক।
চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, আমি নির্বাচনের আগে যা যা ওয়াদা করেছিলাম তা অপূর্ণ রাখবো না। আপনারা দোয়া করবেন আল্লাহ যদি আমাকে হায়াৎ আর তাওফিক দান করেন, তাহলে মতলবকে নতুন করে সাজাবো। একটি সুন্দর আধুনিক মতলব গড়বো। মতলববাসীর স্বপ্ন পূরণ করবো ইনশাআল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুরে নিজ বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন মায়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মতলবে যে উন্নয়ন হয়েছে, আগামী ৫ বছরে তার চেয়ে বেশি উন্নয়ন হবে। মতলবে গত ৫ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি, এবার উন্নয়ন হবে। মতলবের ছোট বড় যতরকমের অসমাপ্ত কাজ আছে তা পর্যায়ক্রমে করা হবে। মতলব আর মতলব থাকবে না, মিনি সিংগাপুরে পরিণত হবে।মায়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি ও বিদেশী নানা ধরণের ষড়যন্ত্র ছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে এ দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়।
২০০৪ সালে আবার হাওয়া ভবনের নির্দেশে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ সকল হত্যাযজ্ঞ ও ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে পারবে না। এ লক্ষে চাঁদপুর-২ এলাকার জনগণকে উন্নয়নের পথে সহযোদ্ধা হতে হবে।
আওয়ামী লীগে ষড়যন্ত্রকারীদের কোন স্থান স্থান নেই। যারা দলের নিবেদিত প্রাণণ তাঁদের নিয়েই দল এগিয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে এলাকার সকল চাহিদা পূরন করা হবে। কোনো উন্নয়ন বাকী থাকবেনা ইনশাল্লাহ।মায়া চৌধুরী আরও বলেন,সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কোনো দলয়ি প্রতীক থাকবেনা। সবার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত। তবে যারা ত্যাগি, পরীক্ষিত জনগণের সাথে সম্পৃক্ত এমন লোককে বেেেছ নিবে জনগণ। তাই জনগণের কাছে যাওয়ার আহবান জানান।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আশফাক চৌধুরী মাহি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মানিক দর্জি,ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ গাজী মুক্তার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাধেশ্যাম চান্দু, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, যুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী,মোঃ রিপন চৌধুরী, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ছোবহান সরকার সুভা,জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সেলিম রেজা, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী রীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন মোল্লা, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের নেতা খোকন প্রধান, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়া, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন, পৌর যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কামাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, মোঃ কামরুল হাসান মামুন,এসএম নোমান দেওয়ান, শ্রমিকলীগ নেতা খোরশেদ চৌধুরী, শামীম প্রধান,উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি লাভলু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম, ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজল, মোহনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ অলি, উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন, সদস্য জোবায়ের আহম্মেদ জনি, প্রমূখ।