প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবদদাতা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর খানঁপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এরআগে রোববার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন বেগম চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে এবং ৬নং কলাকান্দা ইউপি সদস্য ছামছুউদ্দিনের ছোটবোন।তিনি স্বামীর সঙ্গে লাকী বাজার এলাকায়,দুই সন্তানসহ শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। তার স্বামীর নাম আলী হোসেন।নিহতের স্বজনদের দাবি, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েও তারা জেসমিনকে বাঁচাতে পারলেন না। তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে।
জানাগেছে, নিহতের চারভাই প্রবাসী হওয়ার তার কাছে নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন নিহতের স্বামী আলী হোসেন। এর আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করা হলে তিনি তার মেজো ভাইকে ঘটনা জানায়।এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।রোববার রাতে নিহতের পরিবারকে জেসমিনের স্বামী ফোন করে জানায় সে মারা গেছে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে পরিবারে লোকজন এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।নিহতের বোন ও বড়ভাইয়ের দাবি, তার বোনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
তারা জানন, তার বোন জেসমিন ৭ মাসের গর্ভবতি থাকা অবন্থাও তার উপর টাকার জন্য নানাভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী. শ্বাশুরি ও তাদের স্বজনরা। এরপর ৩ ধাপে ৮ লাখ, ৫ লাখ ও ৭ লাখ টাকা দিয়েও তার উপর নির্যাতনের খড়গ বন্ধ করতে পারেন নি।এছাড়াও কিছুদিন আগে আলী হোসেনের নামে যে টাকা রাখা হয়েছে তা জেসমিনের বাপের বাড়ির থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরে আজম জানান, রাতে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূ নগরীর খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তবে তিনি তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।