প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:বরগুনার তালতলী উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর ঝোপ থেকে সুখী আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিহতের মা ফাতেমা বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান।আটককৃতরা হলেন- নিহতের স্বামী হাসান সর্দার, শ্বশুর সাইফুল ইসলাম সর্দার, শাশুড়ী ময়না বেগম, ও তার ফুফাতো ভাসুর আবদুল্লাহ।পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের সাইফুল সর্দারের ছেলে হাসান সর্দারের সঙ্গে এক বছর আগে করাইবাড়িয়া ইউনিয়নের গেন্ডামারা এলাকার বাবুল ফকিরের মেয়ে সুখী আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের সঙ্গে গৃহবধু সুখির বুনিবনা হচ্ছিল না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও গৃহবধু সুখিকে নির্যাতন করত। পরে গত বুধবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর সুখী আক্তার নিখোঁজ হন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে নকরি খেয়াঘাট এলাকার সড়কের পাশে ঝোপে রক্তাক্ত ও নগ্ন অবস্থায় তার মরাদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ মরাদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের মা ফাতিমা বেগম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও আমার মেয়ের শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হত। আমার মেয়েকে ওর শশুর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পনা করে হত্যা করে সড়কের পাশে ঝোপে মরাদেহ ফালিয়ে রেখেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা চার জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডে আবেদন করা হয়। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী তাদের রিমান্ডে আবেদনের শুনানীর দিন ধায্য রেখেছেন।