প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি সুসংহত করতে সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র কিন্তÍু সবার।
আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা এই দেশটা সবার। এই দেশটা কারও একার নয়। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে হিন্দু , মুসলিম, খ্রীষ্ট্রান সবাই মিলেমিশে এক সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল ইউনিয়নের মালোপাড়া (বর্মন পাড়া) শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রমে ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গঁল কামনায় ৫ দিন (৪০ প্রহর) ব্যাপি ব্যাপক উৎশাহ উদ্দিপনার শধ্যদিয়ে শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান-২০২৪ ও মহোৎসব অনুষ্ঠান পরিদর্শনকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন।মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীদের স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ধর্ম নিরপেক্ষতাকে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।’জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন’ জানিয়ে মায়া চৌধুরী বলেন, ‘তাই তিনি সারা জীবন একটি অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন।
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নতুন সেøাগান হচ্ছে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার । তিনি আরো বলেন, আওয়ামী রীগ সরকার ‘বাংলাদেশে সম্প্রীতির পরিবেশ সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সব ধর্মের অনুসারীদের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি বলেছেন, আপনারা ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা আপনাদের ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।
এখন আমার পালা আমি এখন আপনাদের ঋণ শোধ করার পালা। আপনারা আমার জন্য আপনাদের ভগমানের নিকট আর্শিবাদ করুন। ইনশাল্লাহ আমি এই মতলবটাকে একটি আধুনিক স্মাট মতলব হিসেবে গড়ে তুলবো।ষাটনল ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ফুলচাঁন বর্মনের সভাপতিত্বে ও ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠঅনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিসয়ক উপকমিটির সদস্য ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসি আই এর পরিচালনা পরিষদের ভাইসপ্রেসিডেন্ট মায়া চৌধুরীর কনিষ্ট পুত্র রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ষাটনল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ জহির রায়হান,মহোৎসব অনুষ্ঠানে সহ-সভাপতি উত্তম দাস,মহাবীর বর্মন,সাধারণ সম্পাদক অরুন চন্দ্র বর্মন, সুখ রঞ্জন বর্মন, ও শ্রী হরি বর্মন, শ্রী বলারাম গোস্বামী প্রমূখ।
এসময় মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ সানোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক সলিম উল্লাহ বারি চৌধুরী সোহেল, ষাটনল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুব মোল্লা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ইকবাল হোসেন জুয়েল চৌধুরী, যুবলীগ নেতা আসাদ চৌধুরী, রিপন চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম মামুন,উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা খোরশেদ চৌধুরী, ষাটনল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম টিটু,উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন, সদস্য জোবায়ের আহম্মেদ জনিসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার (২৯ পৌষ ১৪৩০ নবাংলা) নামযজ্ঞের শুভ অধিবাস কীর্ত্তন ও মঙ্গলঘট স্থাপনের মধ্যদিয়ে ৫ দিন ব্যাপি শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও মহোৎসব শুরু এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। তবে এর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার অরুনোদয় হইতে ২০ জানুয়ারি শনিবার (৫ ই মাঘ ১৪৩০ বাংলা) অরুনোদয় পর্যন্ত ৫ দিন ব্যাপি ৪০ প্রহর ব্যাপী অখন্ড।
এ তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও মহোৎসব আগামী ২১ জানুয়ারি রোববার (৬ মাঘ ১৪৩০ বাংলা) ভোরে কুঞ্জভঙ্গ,নগরকীর্ত্তন, মধ্যাহ্নে মহাপ্রভুর ভোগ আরাধনা ও মহাপ্রভুর প্রসাদ বিতরণ এর মধ্যদিয়ে এর সমাপনি ঘটবে।গতকাল ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার ছিলো শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান ও মহোৎসব অনুষ্ঠানে চতুর্থ দিন। রাতে সরেজমিনে এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে চারদিকে করাহয়ে হয়েছে আলোকসজ্জা ও কয়েকটি গেইট। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দূর-দূরান্তের হাজারো ভক্ত প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত ধর্মদীক্ষা শ্রবণ করছেন।
এখানে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। তারকব্রহ্ম হরিনাম যজ্ঞানুষ্ঠান নাম সংকীর্তন সুধা পরিবেশনায় রয়েছেন লবকুশ সম্প্রদায় ঝিনাইদহ, গোসাই সম্প্রদায় যশোর, গোপাল কিশোরী সম্প্রদায় মঠবাড়িয়া, পুস্প রাণী সম্প্রদায় বাগেরহাট, রামসীতা সম্প্রদায় খুলনা, জয় নরোত্তম সম্প্রদায় নড়াইল, শ্রী শ্রী লোকনাথ সেবা সংঘ স্থানীয়।