প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড উত্তর ছেংগারচর মোল্লাকান্দি গ্রামে অবস্থিত পিরে কামেল আমিন উদ্দিন ফকিরের ৯২তম ওফাত দিবস উপলক্ষে বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শক্রবার ১৮ জানুয়ারি এ উপলক্ষে প্রথমে মাজারে পবিত্র কোরখাানি, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ৯২তম ওফাত দিবসের আনুষ্ঠাকিতা শুরু হয়।
দীর্ঘ ৯২ বছর ধরে মোল্লাকান্দি গ্রামবাসী, আশেকানভক্তবৃন্দ ও যুবসমাজের উদ্যোগে আমিন উদ্দিন ফকিরের এ ‘ওফাত দিবস’ পালন করেছেন। মিলাদ মাহফিল এবং তবারক বিতরণ করা হয়। বাদ এশা আমিন উদ্দিন ফকিরের স্মৃতিচারণ ও তার রচিত সংগীত পরিবেশন করা হয়।এ উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আমিন উদ্দিন ফীকরের ৯২তম ওফাত দিবস উপলক্ষে বার্ষিক বাউল গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। বাউল সম্্রাট বিজয় দেওয়ান বনাম পুতুল দেওয়ান পবাউল গান পরিবেশন করেন।
রাত ৯টা থেকে শুরু হয়ে সারা রাত পর্যন্ত চলে এ বাউল গানের আসর। এতে জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাউল গানের আসর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার। বাউল গানের আসরের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার বলেন, আমিন উদ্দিন ফীকর একজন আউলিয়া ছিলেন।
এটা একটা পবিত্র ও গরম মাজার। আশুন আমরা সবাই এর পবিত্রতা রক্ষা করি। সবাই আদবের সহিত অনুষ্ঠানমালা উপভোগ করি।তিনি বলেন, এখানে সব ধর্মের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি ও ধরণীর মঙ্গলার্থে প্রার্থনা করা হয়। আমরা গানের মাধ্যমে সেই বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছি। ’মানুষের চেতনায় মানবতাবোধ জাগ্রত করাই এই বাউল মেলার মূল লক্ষ্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য এই মেলা উন্মুক্ত।
ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও ৯ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান হাবীব এর সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শরফুদ্দিন শাওনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ৯ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন প্রধান, ৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমান উল্লাহ সরকার, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সবুজ সরকার, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারিছ খান, ছেংগারচর পৌর যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনোয়ার হোসেন দুলাল প্রমূখ।
মাহফিলেরসার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, মাজার কমিটির পক্ষে হাজ্বী মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মোল্লা, মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ডিএম লিটন, মোঃ এসকে বাবু মোল্লা।এদিকে প্রতি বছর ওরস ও বাউল আসরকে কেন্দ্র করে একটি মেলাও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কুটির শিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠ-বাঁশ ও মাটির তৈরি শিল্পসামগ্রী, মিষ্টির দোকানসহ নানা রকমারি পণ্য ছিল। দরবার শরিফে হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশাল এড়িয়া জুড়ে মেলা বসেছিলো।
এ মেলাকে ঘিরে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শিশু থেকে নারী,পুরুষ ভক্তবৃন্দের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানের শেষ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্ধারিত মঞ্চ, মাজারসহগসহ আশপাশের এলাকায় বাহারি আলোকসজ্জায় বাউল গানের আসর শুরু হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউলভক্তরা যোগ দেন।