প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা:দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের পাটুরিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের কাছে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরি রজনীগন্ধার ডুবির ৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি দ্বিতীয় মাস্টার (যন্ত্রচালক) হুমায়ুন কবিরের (৩৯)। ফেরি ডুবির সময় অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাড়ে ফিরলেও নিখোঁজ আছেন হুমায়ুন। তবে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রাকের চলক ও হেলপার।
হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তার। ২০১১ সালে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি শুরু করেন হুমায়ুন। সাত মাস আগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে ফেরিতে যোগ দেন। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়াকার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালালউদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাইকে আত্মরক্ষার জন্য হুমায়ন সজাগ করলেও তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি।
ফেরিটি যখন ডুবছিল হয়তো কোনো কিছুর চাপায় নিচে ফেরির মধ্যে আটকে গেছেন। এদিকে, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের কাজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে স্থগিত করা হয়। বুধবার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি ট্রাক উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মালবোঝাই ট্রাকটিকে উপরে তুলে নিয়ে আসে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খালেদ নেওয়াজ।
ফেরি ডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পাটুরিয়া প্রান্তে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় নোঙর করে রাখা ফেরি রজনীগন্ধা। এ ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটির দ্বিতীয় যন্ত্রচালক হুমায়ূন কবীর এখনো নিখোঁজ আছেন।