প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বন্দর প্রতিনিধিঃ স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামীদের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বুধবার(২০সে ডিসেম্বর)সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কামতাল নবীর হোসেন মেম্বারের ভাড়াটিয়া আঃ জাব্বারের মেয়ে নুসরাত জাহান মিম (১৬) অটো করে স্কুলে যাওয়ার পথে কামতাল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শরিফুল (২২) ও মালিভিটা গ্রামের ইসমাইল হোসেন ছেলে অটোড্রাইভার হাবিবুর (২৩) সহ আরো অজ্ঞাত ৪জন তার পথরোধ করে তাকে টানাহেঁচড়া করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় স্কুল ছাত্রীর ডাকচিৎকার শুনে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ভিকটিম সহ আসামিদের আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।পরবর্তীতে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দেন এসআই আল ইসলাম।
ভুক্তভোগী নুসরাত জাহানের মা জানান আমার মেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে রয়েছেন এ খবর পেয়ে ফাঁড়িতে যাই সেখানে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেরা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।আমরা এই এলাকায় ভাড়া থাকি তাই বলে আমাদের উপযুক্ত বিচারটি পেলাম না।কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আল ইসলাম টাকার বিনিময়ে আসামীদের ছেড়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী শুভ হাসান এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে এতো বেশি টাকা নেয়নি তবে ৮ হাজার টাকা নিয়ে আসামীদের ছেড়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে।কেনো টাকা নিয়ে আসামীদের ছেড়ে দিলেন এই কথা জানতে চাইলে, তার সাথে উত্তেজিত হয়ে খারাপ আচরন করেন এবং সাংবাদিক কে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন এসআই আল ইসলাম।