যুদ্ধে জেতা সম্ভব না জেনেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাক হানাদার : মায়া চৌধুরী

0
যুদ্ধে জেতা সম্ভব না জেনেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাক হানাদার : মায়া চৌধুরী

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃআওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না জেনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী, সাংবাদিক, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের হত্যা করেছে। আজ এই দিনে সকল শহীদদের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা। সেই ক্ষতবিক্ষত দেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বরর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তরউপজেলার মোহনপুরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে এসে পাকিস্তানী বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিককে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১৪ ডিসে¤॥^র রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে।

’তিনি বলেন, ‘আপনাদের আরেক নেতা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য আমার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু আজ আর আমাদের মাঝে নাই। আমার ছেলের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করে। আজ আমার ছেলে এই অনুষ্ঠানে নেই। এটা মেনে নিতে আমার কষ্ট হয়। আমার ছেলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় স্বরণ সভা পালন করছে। এজন্য আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। যে বাবা ছেলে হারায় সে বুঝে ছেলে হারানোর বেদনা।

এসময় তিনি দিপু চৌধুরীকে স্বরণ করতে যেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।’ মায়া চৌধুরী বলেন, ‘দিপুর মন অনেক বড় ছিল। মানুষের বিপদে আপদে জাপিয়ে পরতো। ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে সু-সংগঠিত করে রেখেছিল। দিপুর জন্য আপনাদের এত মায়া আমি জানতাম না। তার জানাজায় দেখেছি হাজার হাজার জনতার উপস্থিত এবং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিলাদ ও দোয়াতেও হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি তারই প্রমাণ।

মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদারের সঞ্চালনা ও পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন- মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক আওয়মী লীগের উপ-কমিটির সদস্য রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান আয়ুব আলী গাজী, যুগ্ম-সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এসি মিজান, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম জর্জ, জেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মিয়া মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান,গাজী ইলিয়াছুর রহমান, জহিরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মুক্তার,ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজ্বী মনির হোসেন বেপারী,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন প্রমূখ।

এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শাহ আলম সিদ্দিকী, আহসান উল্লাহ হাসান, কলাকান্দা ইউপির দুই বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুস ছোবহান সরকার সুভা, ষাটনল ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী রীগের সভাপতি একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নান্নু মিয়া, মোসাদ্দেক হোসেন মুরাদ, দেলোয়ার হোসেন দানেশ, লোকমান হোসেনমুন্সী, দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাদেশ্যাম সাহা, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির খান, ছেংঙ্গারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র, রুহুল আমিন মোল্লা, সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন শরীফ, সাধারণ সম্পাদক লাভলী চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির রায়হান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কমিশনার খোকন প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, মোসাদ্দেক হাওলাদার মামুন, উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম লাভলু, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেকযুগ্ম-আহবায়ক এসএম নোমান দেওয়ান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসএম সেলিম রেজা, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল ইসলাম রনি, উপজেলা ছাত্র লীগের আহবায়ক কমিটির ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন,সদস্য জোবাইর আহম্মেদ জনিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here