প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় অগ্নিকাণ্ডে এক পরিবারের একটি
চৌচালা টিনের ঘর, ও একটি দু চালা টিনের ঘরসহ দুটি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই। ঘর হারিয়ে এখন নিঃস্ব অসহায় পরিবারটি গত ৩ দিন যাবত স্ত্রী,সন্তান নিয়ে খোলাআকাশের নিচে অবস্থান করছে । মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে এমনি চিত্র দেখা যায়।
কিছুই অবশিষ্ট নেই পরিবারটির, খোলা আকাশের নিচে বসবাস।গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ঠাকুরচর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তার প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানান। ঘরে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট তার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রী সুশীল দাস ছেংগারচর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ঠাকুরচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কাঠ মেস্ত্ররী হিসেবে কাজ করেন।প্রত্য্যক্ষদর্শী আহম্মদ উল্লাহ ছৈয়াল বলেন, শ্রী সুশীল দাস এর বাড়িতে আগুন দেখে আমরা ছুটে আসি। তবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও পারিনি। আগুনের তাপের কারণে আমরা কাছে যেতে পারেনি।
এতে পরিবারটির ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে। আমি ফায়র সার্ভিসকে যথাসময়েই ফেঅন দিয়ে ছিলাম,তারা অনেক দেরি করে ফেলেছে। ফায়ার সার্ভিসটি কাছাকাছি সঠিক সময়ে এসে পৌছতে পারলে হয়তোবা এই অসহায় পরিবারটি এতো বড় ক্ষতি হতো না।তিনি আরও বলেন, ঘর থেকেই কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘরে থাকা চাল, বিক্রিকরার জন্য তার বানানো বিভিন্ন ফার্নিচার, চাল,ডাল, খাতা-কলম, টাকা-পয়সা, তার ভারতীয় ভিসার রিসিভ কপি (ভিসা আবেদন পত্র), ভারতীয় ষ্ট্যাট ব্যাংক এর একটি ট্রাভেল কার্ড এবং তার বসত বাড়ি ও অন্যান জায়গার জমির দলিলপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবারটি সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শ্রী সুশীল দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত ২ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমি সহ আমার পরিবারসহ পূর্ব হানিরপাড় কির্ত্যনে অংশ গ্রহনে গিয়েছিলাম। আমার বাড়িতে কেউ ছিলো না। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমার ঘরে আগুন লেগেছে সংবাদ পাই। আমি ঘটনাস্থলে এসে মতলব উত্তর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় জনসাধারণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততোক্ষনে আমার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে ঘরের আসবাবপত্র, নগদ টাকা-পয়সা সব পুড়ে গেছে। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি।
পরনের লুঙ্গি ছাড়া সবকিছু পুড়ে গেছে। ঘরে থাকা চাল, বিক্রি করার জন্য তার বানানো বিভিন্ন ফার্নিচার, চাল,ডাল, খাতা-কলম, টাকা-পয়সা, তার ভারতীয় ভিসার রিসিভ কপি (ভিসা আবেদন পত্র), ভারতীয় ষ্ট্যাট ব্যাংক এর একটি ট্রাভেল কার্ড এবং তার বসত বাড়ি ও অন্যান জায়গার জমির দলিলপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।শ্রী শ্রী সুশীল দাস বলেন, এখন আমার থাকার মতো কোনো উপায় নেই। আমরা খুব গরিব-অসহায়। আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
আমি গত তিন দিন যাবত স্ত্রী,সন্তান নিয়ে এই শৈিত খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। আমি প্রশাসন, সমাজের বিত্তবান এবং সরকারের কাছে আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্ত্রী,সন্তান নিয়ে একটু মাথা গুজার ঠাঁই করে দেওয়ার অনুরোধ জানাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হবে।মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস মুঠোফুনে বলেন, ঘর হারিয়ে এখন নিঃস্ব অসহায় পরিবারটি খবরটি শুনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। উপজেলা পরিষদ থেকে তাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবো।
পাশাপাশি তার আর্থিক সহযোগিতার জন্য আশ্বাস প্রদান করেন। এ বিষয়ে মতলভ উত্তর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে আমাদের যথাসময়ে টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।