হঠাৎ ডিবি’র কার্যালয়ে গেলেন মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান

0
হঠাৎ ডিবি’র কার্যালয়ে গেলেন মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ডেস্ক নিউজ: বিএনপির সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান হঠাৎ করেই ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করেন। বিএনপির সাবেক এমপি এবং নেতারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন- এমন খবরের মধ্যেই ডিবি কার্যালয়ে গেলেন আখতারুজামান।

তিনিও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, এমন গুঞ্জন চলে আসছে কয়েকদিন ধরেই। বিএনপির সাবেক ওই নেতা ডিবিপ্রধানের সঙ্গে যে দেখা করেছেন, তা ডিবির একাধিক কর্মকর্তা কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তবে কেন তিনি দেখা করেছেন এবং তাদের সঙ্গে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে- সে বিষয়ে ডিবির কেউ মুখ খুলেননি।অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান আমার এলাকার বাসিন্দা। তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।

আখতারুজ্জামানকে ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তিনি দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন। স্পষ্টবাদী হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার পরিচিতি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে কথা বলে বহিষ্কারও হয়েছেন তিনি। বিএনপি থেকে অন্তত পাঁচবারের বহিষ্কারকৃত মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বিএনপির এমপিও ছিলেন।

বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টানা দুবার দলটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ দলটি থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীর্ষ প্রতীকে নির্বাচন করে হেরে যান সাবেক আইজিপি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর মোহাম্মদের কাছে। তবে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এবার নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন পুলিশের আরেক সাবেক কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক নেতা আখতারুজ্জামান ওই আসন থেকে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। তিনি সে প্রস্তুতিও নিয়েছেন।

এতে করে এলাকায় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আখতারুজ্জামান জানিয়েছিলেন, কটিয়াদী নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে রেখেছেন তিনি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে দলটির প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। যদি বিএনপি নির্বাচনে না যায় তাহলে সময়ই বলে দিবে কী করা উচিত। বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, আখতারুজ্জামান প্রথম বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। সেই সময় সংসদের একটি অধিবেশন থেকে বিএনপি ওয়াকআউট করে।

সেদিন তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে সংসদে থেকে যান। এর কিছুদিন পরই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। দ্বিতীয়বার বহিষ্কৃত হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে। তখন বিএনপি এই সরকার পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছিল। সেই সময় তিনি টিভি টক শোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে কথা বলে বহিষ্কার হন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘বেয়াদব’ বলে তৃতীয়বার বহিষ্কৃত হন তিনি। দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের সমালোচনা করে বহিষ্কৃত হন চতুর্থবার। সর্বশেষ তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে দলীয় নেতাদের ব্যর্থতার সমালোচনা করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here