প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারাদেশে অর্ধবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।এর সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ শহরে মিছিল করতে গেলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে জোটের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় শহরের ২নং রেলগেইটস্থ আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে থেকে মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। ওই সময় মিছিলকারীদের ব্যানার নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হলে পেছন থেকে লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করে পুলিশ।আহতরা হলেন- বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদের জেলা সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, খোরশেদ আলম, জাসাল হোসেন, রাতুল আহম্মেদ, রুহুল আমিন সোহাগ, নুরুল ইসলাম, সরত মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, রোকন আহম্মেদসহ ২০ জন।
এ প্রসঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারাদেশে আধাবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। ইসির একতরফা ও প্রহসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশে হরতাল পালন করছে দলটি।
তিনি বলেন,হরতালের সমর্থনে আমরা কেন্দ্রীয় সিপিবি নেতা অ্যাডভোকটে মন্টু ঘোষসহ সকালে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীন দেশে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে পারব না। নিজেদের দাবি রাস্তায় প্রকাশ করতে পারব না।জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিপক চন্দ্র দাস জানান, জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি ও সমমনা দলের ডাকা পঞ্চম দফা অবরোধের সমর্থনে সদর উপজেলার নাগিনা জোহা সড়কের চাঁদমারী থেকে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত মিছিল করে মহানগর যুবদল। এ সময় তারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধের চেষ্টা চালায়৷ এ ছাড়া তফসিল প্রত্যাখ্যান করে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। হরতাল সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকায় মিছিল করেন দলটির নেতারা।