প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদানী নতুন মহল্লা এলাকার ব্যবসায়ী চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা সাংবাদিক সমম্মেল করায় ফেঁসে গেলেন বহু অপকর্মের হোতা মো. রফিকুল ইসলামসহ সহ ৪ জন। চাঁনমিয়ার করা মামলায় ৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালত।
আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে পেনাল কোর্ড ১৮৬০ এর ৫০০/৫০৬(॥) ধারায় অভিযোগ গঠন করে স্বাক্ষীর জন্য আগামী ২১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, চাঁন মিয়াকে সিদ্ধিরগঞ্জের চিহ্নিত ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ,হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ও ছবি এডিট এবং বিকৃত করে মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করার অভিযোগে, সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার গোলাপ রহমানের ছেলে মো: রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী ১নং আদালতে মামলা করেন চাঁন মিয়া।
যার নং-১৩৪২/২০২২। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মো. এনামুল হক, শাহীন আলম স্বপন ও সাদেকুর রহমান লাভলু। তাদের বিরুদ্ধে মামলায় করায় গত ২৮ মে দুপুর ১ টার দিকে আদালতের প্রধান গেইটের সামনে চাঁন মিয়াকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন হুমকি দেয় আসামিরা। এঘটনায় চাঁনমিয়া ফতুল্লা থানায় জিডি করেন। যার নং-২১৯৬। হাজীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কাজী রেজাউল হক জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ঘটনাটি অর্ধবত্য অপরাধের শামিল বিধায় তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতির আবেদন করেন।
তখন আদালত কার্যবিধির ১৫৫(২) ধারায় তদন্তের অনুমতি দেন। আদালতের অনুমতিক্রমে জিডি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাজীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপরিদর্শক কাজী রেজাউল হক রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক ও শাহীন আলম স্বপনের বিরুদ্ধে গত ৬ জুলাই দন্ড বিধির ৫০৬ ধারায় আদালতে নন এফ আই আর প্রসিকিউশন নং-৭৯ দাখিল করেন। যা আদালতে নন, জি,আর,নং-৩৬৭/২৩ হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এর পর আসামিরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠলে চাঁন মিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়,নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াত ক্যাডার রফিক ও এনামুল হক গংদের হুমকিতে তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
কারণ, আসামিরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত। তার প্রভাবশালী ও বিত্তবান।অপরদিকে অফিযোগ পেয়ে বহু বিতর্কিত রফিকুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই চিঠির অলোকে রফিকুল ও এনামুল হক গংদের বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক) সার্কেল এর ষ্টেনো হুমায়ুন তদন্ত করেন। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্ট থেকে চাঁন মিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও মহা পুলিশ পরিদর্শকসহ অন্যান্যদের প্রতি আদেশ প্রদান করেন।