প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছিল গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এরই প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিয়েছে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে শ্রমিকরা।মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন মজুরি বৃদ্ধির দাবি আদায়ে ১১ সংগঠন নিয়ে গঠিত হয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্ম। এ প্ল্যাটফর্মের উদ্যোগে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ করব।তিনি আরও বলেন,গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা প্রত্যাখান করছি। মজুরি বৃদ্ধির আমাদের যে দাবি সেটি সরকারকে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।সরকারপক্ষের শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের জন্য এই মজুরি বৃদ্ধিতে সমর্থন দিয়েছেন।
তারপরও আমরা চেষ্টা করব এটাকে আরও বৃদ্ধি করার।এর আগে, পোশাক শ্রমিক ও মালিকপক্ষের ছয় দফা বৈঠক শেষে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এ মজুরি ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬.২৫ শতাংশ বাড়ে আট হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।
জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৪ টাকা করার প্রস্তাব করেন শ্রমিকদের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে, ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকার করার প্রস্তাব করেন পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তার প্রস্তাবের ভিত্তিতেই নতুন মজুরির ঘোষণা দিল সরকার।২০১৮ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ন্যূনতম মজুরি ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা।