প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় বিএনপির নেতাকর্মীরা গত শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশে অংশ নেওয়ায় হামলা চালিয়ে মারধর ও ব্যক্তিগত অফিস, ক্যাডেট স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় আ’লীগ কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ আইচা বাজারে চরমানিকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ পালন শেষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আ’লীগের হামলায় ভোলার দক্ষিণ আইচায় যুবদল নেতা ইকবালের ব্যক্তিগত অফিস, ও ছাত্রদল কর্মী রিয়াজের দক্ষিণ আইচা ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের ক্লাস রুমের একটি টিনের বেড়া, ১০ টি বেঞ্চ, এবং বিএনপির সমর্থক সোহাগের জুতা দোকানের গ্লাস এবং সালাউদ্দিনের ইলেকট্রনিক্সেও দোকানের গ্লাস, দক্ষিণ আইচা বাসস্ট্যান্ডের মুরগি ব্যবসায়ী ইয়াছিনের দোকানের টিন সেটের বেড়া ভাংচুর করা হয়। এ সময় আ’লীগ কর্মী-সমর্থকদের হামলায় বিএনপি কর্মী মুরগী ব্যবসায়ী ইয়াছিনের ছেলে মিশর, ও ছাত্রদল কর্মী রিয়াজের ক্যাডেট স্কুলের ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এসব বিষয়ে দক্ষিণ আইচা যুবদলের নেতা ইকবাল হাওলাদার জানান, আমার একটি অফিসের প্রায় ১২০ চেয়ার, ২ টি টেবিল সহ পুরো অফিসটি ভাংচুর করে আ’লীগের কর্মী-সমর্থকরা। দক্ষিণ আইচা ক্যাডেট স্কুলের প্রধান ছাত্রদল কর্মী রিয়াজ উদ্দিন জানান, আ’লীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ বেঞ্চ, দরজা-জানালা এবং ষষ্ঠ শ্রেনির আছসাইফ, পঞ্চম শ্রেনির শোহান, চতুর্থ শ্রেণির সেলিম আহত হন। এছাড়াও হামলা চলা কালে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থী ভয়ে আতষ্কিত হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, যুবদল নেতা ইকবাল হাওলাদার গত ১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় আ’লীগে যোগদান করে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। এসব নিয়ে তার সাথে কথার কাটাকাটি হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করে এখন আ’লীগের নেতাকর্মীদের দোষ দিচ্ছে। তবে চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক আ’লীগের সভাপতি শফিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, সারাদেশের ন্যায় রোববার সন্ধ্যায় চরমানিকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ পালিত হয়েছে।
তার পর আমি বাসায় চলে আসি। এরপর কোন ঘটনা ঘটছে কি না তা আমার জানা নাই। দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সাঈদ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।