প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ডেস্ক নিউজ: বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি পেল আওয়ামী লীগ। একই সাথে কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিএনপিকে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যাসন্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।তবে ২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।এর দেড়ঘণ্টা পরে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি।
ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন,আগামীকালের রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ডিএমপির পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা আমরা করেছি।আমাদের কাজগুলো অনেকটা এগিয়েছে।আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে তাদের পছন্দের ভেন্যুতে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে সমাবেশের জন্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে ২০ টি শর্ত।
এসব শর্ত মেনেই দুই দলকে আলাদা আলাদা ভেন্যুতে সমাবেশ করতে হবে।শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার।বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে তাদেরকে ২০টি শর্ত মেনে সমাবেশ করতে হবে।
শর্তগুলো হলো-
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশ এর যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. বেলা ১২:০০ ঘটিকার পূর্বে কোনক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।
৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেন্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।
৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (১৪.০০ ঘটিকা হতে ১৭.০০ ঘটিকা) সমাবেশ এর সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।
১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোন সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।
১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোন বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৫. রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৬. উস্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোন ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোন বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. আইন-শৃংখলার অবনতি ও কোন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
১৯. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।