প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে সারাদেশে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ঢাকা ও বরিশালসহ অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
এছাড়া স্পিডবোট, মালবাহী নৌযানও চলাচল শুরু হয়।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমে গেছে। সংকেত ৩-এ নেমে আসায় সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বরিশাল থেকেও লঞ্চ ছেড়ে আসবে।বরিশাল নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের বিপদ কেটে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে সব রুটে নৌযান চলাচল শুরু করে।
সন্ধ্যায় আগের নিয়মেই ঢাকা রুটের লঞ্চ ছেড়ে যাবে।এর আগে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুন উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে পড়ায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত কমিয়ে দিতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
ঝড়ে উড়ে গেছে গাছপালাসহ কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। গাছ ও দেয়াল চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১২টা পর্যন্ত ঝড়ে আহত ২৫ জনকে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।