ভুল সিদ্ধান্তে এডিপির ৫লক্ষ টাকাই গচ্ছা তালতলীতে অযত্ন অবহেলায় মৎস্য বিভাগের স্পিডবোটটি বিকল

0
ভুল সিদ্ধান্তে এডিপির ৫লক্ষ টাকাই গচ্ছা তালতলীতে অযত্ন অবহেলায় মৎস্য বিভাগের স্পিডবোটটি বিকল

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥বরগুনার তালতলীতে নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় টহল দিতে ব্যবহৃত দ্রুতগতির স্পিডবোটটি অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। ড্রাইভার ও জ্বালানি বরাদ্ধ না থাকায় স্পিড বোটটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি মৎস্য বিভাগের।জানা যায়, উপজেলার পায়রা নদীতে ইলিশ মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু জেলেরা মাছ
শিকার করছে প্রায়ই।

এই মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নদীতে টহল দিতে দ্রুতগতির একটি স্পিডবোট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা পরিষদ। ড্রাইভার ও জ্বালানির ব্যবস্থা না করেই এই ভুল সিদ্ধান্তে উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২০১৯-২০অর্থ বছরের ৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি দ্রুতগতির স্পিডবোট ক্রয় করে দেয় উপজেলা মৎস্য বিভাগকে। নদীতে টহল কার্যক্রম আরও গতিশীল হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ভাবে ড্রাইভার ও জ্বালানির বরাদ্ধ না থাকায় দ্রুতগতির স্পিডবোটটি ব্যবহার করছে না উপজেলা মৎস্য অফিস।

এতে সরকার তথা এ উপজেলার বার্ষিক উন্নয়ন খাতের ৫ লাখ টাকার পুরোটাই গচ্চা গেছে। স্পিডবোটটি বর্তমানে খালের ভেতরে অযত্ন ও অবহেলায় অচল হয়ে পড়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেতরে ময়লা-আবর্জনা জমে এটি এখন একেবারেই বিকল হয়ে গেছে।তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মু.আ.মোতালিব বলেন, এই উপকূলীয় উপজেলায় নদীতে টহল দিতে একটি দ্রুতগতির স্পিডবোট দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু গত ৪ বছরে কখনো এটিকে ব্যবহার করতে দেখিনি।

এতে সরকারের মৎস্য সম্পদ রক্ষার উদ্যোগ ব্যহত হচ্ছে। এই সুযোগে অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে মাছ শিকার করবে। আমাদের দাবি দ্রুত এটি সচল করে মৎস্য অভিযান পরিচালনা করা হোক।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, আমার আমলে এই স্পিডবোটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। আমি এসে এটা ব্যবহারও করতে পারিনি। তবে ড্রাইভার ও জ্বালানি বরাদ্দ না থাকায় স্পিডবোটটি খালে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।

স্পিডবোটটি চালু করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে টহল কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য এই স্পিডবোটটি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। এখন জ্বালানি ও চালক না থাকায় অচল হয়ে পড়ে আছে। পরবর্তী মিটিং এ আলোচনা করে বিকল্প সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here