প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামাল ঃ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিনের মুসলিমদের মুক্তিকামী জনগণের স্বাধিকার আন্দোলনের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং মসজিদুল আকসার পবিত্রতা রক্ষার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারে সমাবেশ,মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুসল্লিরা।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বাদ জুম্মা নামাজের পর মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর দর্জি বাজার জামে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোপ মিছিল কর্মসুচি পালন করা হয়। প্রথমে বিক্ষোপ মিছিলটি ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ গেইট হতে শুরু হয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মতলব উত্তর থানা হয়ে পূনরায় ছেংগারচর বাজার চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়। শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন, ছেংগারচর দর্জি বাজার জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম খলিল সালেহী আনন্দপুরী ও ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন।
ছেংগারচর দর্জি বাজার জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মোঃ ইব্রাহিম খলিল সালেহী আনন্দপুরীর নেতৃত্বে এসময় ছেংগারচর দর্জি বাজার জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম মোল্লা,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহম্মদ উল্লাহ দর্জি, ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক মনির হোসেন, মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা ডা.মোঃ শাহজাহান মিয়া, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আঃ সালাম খান, মুসুল্লি মোঃ আবুল হোসেন, আশেক মাহমুদ সংগ্রাম, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মোঃ রতন,আব্দুল কাইয়ুম, মাইনউদ্দিন,আরিফসহ শতাধিক মুসুল্লিা এতে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও বিক্ষোপ মিছিলে ফিলিস্তিনের মুক্তির পক্ষে ও ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সেøাগানে সেøাগানে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুসল্লির।মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তারা বলেন, ‘দখলদার ইসরায়ল আমাদের প্রথম কেবলা দখল করার পাঁয়তারা করছে। ফলে মুসলিম হিসেবে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা মুসলিম হয়েও তাদের সাহায্য করতে পারছি না। এ কর্মসূচি থেকে আমরা ফিলিস্তিনিদের সহানুভূতি জানাচ্ছি।‘আমরা মুসলিমরা একটি দেহের মতো।
তাই যখনই বিশ্বের কোথাও মুসলিমরা আঘাত প্রাপ্ত হন, তখনই আমাদের দেহেও আঘাত লাগে। ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।প্রসঙ্গত গত ৯ অক্টোবর শনিবার মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস কর্তৃক মুসলিমদের প্রথম কাবা আল আকসা রক্ষায় “তুফান আল আকসা” মিশনের অংশ হিসেবে ইসরায়েল রকেট হামলা করে। এরই জের ধরে গাজায় ব্যাপক হত্যা ও বর্বরতা চালায় ইসরায়েলী সৈন্যরা। এতে বেসামরিক লোকজন, নারী শিশুসহ চারশতাধিক নিহত ও সহস্রাধিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটে।