প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ দেশের সকল মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে চায়। তাদের নির্যাতন, যন্ত্রণা, চুরি-দুর্নীতি সবকিছু থেকে এখন মানুষ বাঁচতে চায়। এখনও সময় আছে একটা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর)সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ওই কনভেনশনের আয়োজন করে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য’।বিএনপি মহাসচিব বলেন আজকে দেশে একটা শ্রেণি সম্পদের পাহাড় বানিয়েছে। তারা টাকা বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আর আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা এখানে বসে আছে, তারা এই দেশেই পড়াশোনা করছে। তারা টাকা পাচার করছে।
’মির্জা ফখরুল বলেন একজন তুখড় সাবেক ছাত্রনেতা এ্যানিকে (শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি) তারা গভীর রাতে গ্রেফতার করে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। সে আদালতে বলেছে, আমাকে যেভাবে পিটিয়েছে চোর-ডাকাতকেও এভাবে পেটায় না। সুতরাং মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবেন না, জেগে উঠতে হবে। নাহলে আজকে এ্যানিকে যেভাবে মেরেছে, কালকে আপনাকে এভাবে মারতে পারে। আপনার পরিবারকেও এভাবে মারতে পারে।সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে তারা জুডিশিয়াল কিলিং করে হত্যা করেছে। এক বছরে ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
আমাদেরকে বিদ্রোহ করতে হবে। তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রদের উদ্দেশে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘আমরা যখন যুবক ছিলাম, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম, অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। প্রতিবাদ করেছি সবসময়, সামনাসামনি প্রতিবাদ করেছি। এখানে অনেকেই বসে আছেন, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। যুদ্ধ করেছেন। এখন আপনাদের কাছে গুরুদায়িত্ব এসেছে।
আপনারা এই ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করবেন।আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে তারা। আমার মাকে (বিএনপি চেয়ারপারসন) তারা অসহায় অবস্থায় বন্দী করে রেখেছে। চিকিৎসা করাতে দিচ্ছে না। আমার ভাইকে মেরে আহত করছে। আমার ৬৪৮ জন ভাইকে তারা গুম করেছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে তারা জুডিশিয়াল কিলিং করে হত্যা করেছে। এক বছরে ২২ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আমাদেরকে বিদ্রোহ করতে হবে।
তাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।কনভেনশনে অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবউন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, আজিজুল বাড়ি হেলাল, রকিবুল ইসলাম বকুল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।