প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা:কিশোরগঞ্জে গত দুইদিনের টানা ভারী বর্ষণে ৬৬৪১টি পুকুর ও ফিসারির প্রায় ৩৭ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার সাড়ে ৩ হাজার মাছচাষি। ভেসে যাওয়া মাছের মধ্যে শিং, পাবদা, রুই, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আছে রয়েছে বলে জানান মাছচাষিরা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট সাড়ে তিন হাজার মৎস্য চাষীর ৬ হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিসারি তলিয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১৮শ মেট্টিক টন মাছ ভেসে গিয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩৭ কোটি ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়াও পুকুর ও ফিসারির অবকাঠামোগত প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অবকাঠামো ও মাছের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৩ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার কটিয়াদী উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা। তার মধ্যে কটিয়াদী উপজেলায় ১ হাজার ৯২৫টি পুকুর ভেসে গিয়েছে।সাকি নামে এক মৎস্য চাষী জানান, একরাতের বৃষ্টিতেই আমার আমার দুই ফিসারি ডুবে গেছে। পাড় ডুবে উপর দিয়ে পানি যাচ্ছে। একেকটা ফিসারিতে প্রায় তিন চার লাখ টাকার মতো মাছ ছিল।আমিন সাদী নামে এক খামারি জানান, আমার ২৫ শতাংশের একটি ফিশারি ছিল রাতের বৃষ্টিতে ফিসারির পাড় তলিয়ে সব মাছ চলে গেছে।
আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমাদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আলী ভাইয়ের ৩৬ কাটা জমির বড় ফিসারি ছিল এটাসহ সব তলিয়ে গেছে। এছাড়াও এলাকার সকল ফিসারি তলিয়ে গেছে। আমাদের মতো প্রান্তিক মাছ চাষীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। সরকার যদি আমাদেরকে প্রণোদনের ব্যবস্থা করে তাহলে হয়তো আমরা কিছুটা দাঁড়াতে পারবো।মহিনন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, আমার বেশ কয়েকটি ফিসারির পাড় তলিয়ে গেছে।
এতে আমার প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমারমতো এলাকার সবার ফিসারিরই ডুবে গেছে। এতে কমবেশি সবাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বরাদ্দ এলে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে চাষিদের পুনর্বাসন করা হবে।