রাজধানীতে মাশোহারায় চলছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সাঃ ট্রাফিক পুলিশের আয় মাসে কয়েক লাক্ষাধিক টাকা

0
রাজধানীতে মাশোহারায় চলছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সাঃ  ট্রাফিক পুলিশের আয় মাসে কয়েক লাক্ষাধিক টাকা

প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব প্রতিবেদক উচ্চ আদালতের নিষেধ অমান্য করে রাজধানীর সড়কে চলছে অবৈধ পরিবহন। এসব পরিবহনের মধ্যে রয়েছে অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ইজি বাইক,জেলা পর্যায়ের সিএনজি। আর এসব পরিবহন থেকে প্রতিদিন অবৈধভাবে আয় হচ্ছে হাজার হাজার টাকা যা মাসে গিয়ে দাড়ায় কয়েক লক্ষ টাকা। আর এসব টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিচ্ছে থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, স্থানীয় নেতা, হিজাড়া, কথিত সাংবাদিক সহ বিভিন্ন মহল।

এই চক্রের গডফাদার মুগদার আলাউদ্দিন( ম) ধুমপান নিষেধ ষ্টীকারে লেখা । শাপলা ফুল জামাল, ল্যাংড়া মামুন, বিথী, স্বপ্না হিজরা, লালা হিজড়া,সাংবাদিক নামধারী (স) সোহাগ হিজড়া,ইলিশ, ময়ুর এ রকম হরেক রকমের ষ্টীকার। জানা যায়,রাজধানীতে এদের ষ্টীকারে রিকশা চলছে প্রায় ৫০ হাজার ব্যাটারী রিকশা। প্রতিমাসে এদের কাছ থেকে ১০০০ থেকে ১৫০০ করে টাকা দিয়ে ষ্টীকার কিনে রিকশা চালাতে হয়। জনবহুল এলাকা গুলোই এদের টার্গেট। যেমন যাত্রাবাড়ী,শ্যামপুর,কদমতলী, জুরাইন, মুগদা, মান্ডা , মিরপুর কালশী, গাবতলী, কামরাঙ্গীর চর,আমিন বাজার।

একেক জায়গায় একেক জনের ষ্টীকার চলে যেমন, শ্যামপুর, কদমতলী, যাত্রাবাড়ীতে (স) নামের রিকশা মানে সাংবাদিক নামধারী সোহাগ। কে এই সোহাগ? যাত্রাবাড়ী,শ্যামপুর,কদমতলী, এলাকার (স) নামের সোহাগের সন্ধানে সে জানায়, সে মুলত সাংবাদিক না। সে প্রকৃত পক্ষ একজন হিজড়া, তার অধীনে চলে ২৫০০ রিকশা, তার এলাকার টিআই এবং ট্রাফিক এসিদের মোটা অংকের মাসোহারা দিয়েই চালাতে হয় এসব রিকশা৷ সোহাগ আরো জানায়,প্রতি টিআই কে মাসে ২০ হাজার, ট্রাফিক এসিদের সাথে মাসোহারা করতে একটু বেশী লাগে।

যাত্রাবাড়ী টিআই মাহবুব নেন ২০ হাজার টাকা, ট্রাফিক ওয়ারী (এসি) নিপা দাস নেন ৩০ হাজার টাকা, এ ভাবেই চলছে তাদের অবৈধ রিকশার ব্যাবসা। যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক বক্স, দয়াগঞ্জ মোড়ে, দোলাইপাড় মোড়ে কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। জুরাইনের স্থানীয় বাসিন্দা মোতালেব জানান, এই ব্যাটারী চালিত রিক্সাগুলো খুবই নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলাফেরা করে। ফলে প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা।

জুরাইন এলাকায় গত বছর এপ্রিলে রাইসা নামে এক শিশুকে এক অটো রিক্সা চাপা দিয়ে মেরে ফেলে এতে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ সহ কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এরপর প্রায় ছয়মাস ঐসড়কে অটো রিকশা চলাচল বন্ধ ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জানান,আমি প্রতিদিন (স) নামের ১০/১২টি রিকশা ডাম্পিং করি, কিন্তু উদ্ধতন কিছু কর্মকর্তার জন্য এদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যাবস্থা নিতে পারছি না।

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এসব ব্যাটারী চালিত রিকশা রাজধানীতে কি করে চলে তা আমাদের জানা নেই। এবিষয়ে ওয়ারী বিভাগের ট্রাফিকের উপ-পুলিশ কমিশনার নাজির আহম্মেদ বলেন, নব নিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেলে সাথে সাথে ব্যাবস্থার নির্দেশ দেন। সেই সাথে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্য অবহেলা জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here