প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের মহিশালা বাসস্ট্যান্ড থেকে বেড়াদী, বাসুদেবপুর, রুপদিয়া হয়ে মুজুরদিয়াগামী সড়কটির দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার। প্রায় দুই যুগ আগে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তাটি আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে কার্পেটিং সড়কে রুপান্তরিত হয়। এরপর আর এর প্রতি কখনো নজর পড়েনি সড়ক বিভাগের।
ফলে দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির পুরোটাই এখন বড়-বড় খানা-খন্দকে ভরপুর। ছাল-বাকল উঠে বদলে গেছে এর আসল চেহারা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি এক সময় পিঁচঢালা কালো চকচকে রাস্তা ছিল। সর্বত্রই এখন পোড়া ইটের লালচে গুড়ির ছড়া-ছড়ি। ফলে সড়কটির এই বেহাল দশায় উল্লেখিত বেড়াদী,বাসুদেবপুর ও রুপদিয়া এই তিন গ্রামের প্রায় ১৫/২০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষায় এ ভোগান্তি আরো ভয়াবহ রুপ নেয়।
জলাবদ্ধ খানা-খন্দকে যানবাহনের চাকা আটকে চালক ও যাত্রীর যন্ত্রণা বাড়ায়। কাদা- পানি ছিটে পথচারীর পরিধেয় বস্ত্রের বারোটা বাজায়। অহরহ ঘটে দূর্ঘটনা। দূর্বিষহ এ দূর্দশায় দিশেহারা এ জনপদের মানুষগুলো। অনেকেরই খেদোক্তি-এ থেকে কবে মিলবে মুক্তি? মোঃ জসিম উদ্দিন নামে একজন অটোরিকশা চালক ক্ষোভের সুরে বলেন, চারপাশে কত উন্নয়নের গল্প শুনি, কিন্তু আমাদের এ সড়কের উন্নয়ন হয়না কেন? নাকি গ্রামের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কোন মূল্য নেই? মুজুরদিয়া ঘাটের ব্যবসায়ী বেড়াদী গ্রাম নিবাসী মোঃ সজল মোল্লা বলেন, ইউনিয়ন, উপজেলা সদর সহ এলাকার সকল হাটবাজার, স্কুল- কলেজে যাতায়াতে আমাদের একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি।
এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সড়কটির এ করুণ দশা আমাদের জীবন থেকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য কেড়ে নিয়েছে। আধুনিক এ গ্রামীণ জনপদের বড় কলঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে মহিশালা-বেড়াদী-মুজুরদিয়া সড়কটি। আমরা এ থেকে উত্তরণ চাই। ইউপি সদস্য আবুল হাসান মোল্লা বলেন, রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। ইউনিয়ন পরিষদের এখানে তেমন কিছু করার নেই।
দেশের কর্তাব্যক্তিরা গ্রামের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননা। তাই প্রায় ২০ হাজার জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সড়কটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে অনাদর-অবহেলায়। আবুল হাসান রাস্তাটি মেরামতে দৈনিক ইনকিলাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।