প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ খান মোহাম্মদ কামালঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর ওয়াপদা সংলগ্ন চান্দ্রাকান্দি গ্রীণ ক্লাব খেলার মাঠ কতিপয় দুষ্কৃৃতকারী কর্তৃক বিনষ্ট করার এবং খেলার মাঠ দখল করে বিভিন্ন গাছের ঢালা রেখে বেদখল করে রাখার প্রতিবাদে খেলোয়াড় ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।
১৯ আগস্ট শনিবার বিকেলে কালিপুর ওয়াপদা সংলগ্ন চান্দ্রাকান্দি গ্রীণ ক্লাব খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। এসময় চান্দ্রাকান্দি এসইএল মডেল একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালাউদ্দিন, চান্দ্রাকান্দি গ্রীণ ক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম টিটু, কালিপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ মাইনউদ্দিন চৌধুরী, চান্দ্রাকান্দি গ্রীণ ক্লাব এর সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল মাহমুদ, সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম,ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ শাকিল, যুবলীগ নেতা ফেরদাউস, যুবনেতা জজ মিয়া প্রমূখ।
মানববন্ধনে সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের চান্দ্রাকান্দি,ষাটনল ইউনিয়নের কালিপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক খেলোয়াড় এবং এলাকার বিভিন্ন বিক্ষুদ্ধ জনতা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেন, এটি একটি পরিত্যক্ত ওয়াপদা ডোবা ছিলো। এলাকার যুবসমাজকে মাদক ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার লক্ষে চান্দ্রাকান্দি এসইএল মডেল একাডেমি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল সাহেব মাটি ভরাট করে যুবসমাজের খেলার মাঠ তৈরি করে দিয়েছেন।
তার পর থেকে কালিপুর,চান্দ্রাকান্দিসহ পাঁচটি গ্রামের স্কুল-কলেজের ছাত্ররা ও এলাকার সাধারণ মানুষ খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আশপাশের গ্রামের ছেলে-মেয়েরা এ মাঠে খেলাধুলা করে। কিন্তু কতিপয় নদীতে মাছ জাগ দেওয়া অসাধু মাছব্যবসায়ীরা মাঠের জায়গা দখল করে মাঠের ভিতরে বিভিন্ন গাছ ও গাছের ঢালা রেখে খেলার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে এলাকার তরুণ ও যুবসমাজ যুবসমাজকে মাদক থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে এ গাছগুলো সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা কোনো কর্নপাত করেননি।
এমনকি গত শুক্রবার কোনো এক সময়ে মাঠে ক্রিকেটের পিচ কুপিয়ে বিনস্ট করে ফেলে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ওই এলাকার যুবসমাজ ও এলাকাবাসী। এরই পরিপ্রেক্ষি শনিবার বিকেলে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কর্মসূচির হিসেবে গতকাল শনিবার মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে শতাধিক খেলোয়াড় ও এলাকাবাসী। সকল পেশার স্বতঃস্ফূর্ত স্থানীয় এলাকাবাসী প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও অবস্থান সমাবেশে করেন।
চান্দ্রাকান্দি গ্রীণ ক্লাব এর সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম টিটু বলেন, ছাত্রসমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য আমাদের গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল সাহেব ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেএই চান্দ্রাকান্দি খেলার মাঠটি তৈরি করে দিয়েছেন। প্রায় ৯ বছর আগে। যাতে ছেলেরা মাদক ও সমাজের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি যাতে ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে এই ভালো উদ্যোগটি তিন গ্রহণ করেন। আমাদের গ্রীণ ক্লাবের একটি উদ্ধেশ্য ছিলো মানষের কল্যানেই কাজ করা।
সেই মাঠটি বিনস্ট করার জন্য কিছু মাদক সেবী ও কতিপয় স্বর্থান্বেসী মহল এই মাঠটি বিনষ্ট করেছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে যেন আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিওয়া হয়।মানববন্ধনে এসইএল মডেল একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, ‘মাঠ আন্দোলন যৌক্তিক ও মানবিক আন্দোলন। আগামী প্রজন্মের জন্য এ লড়াই, অন্য যেকোনো আন্দোলন থেকে কম নয়। খেলার মাঠ একটা বিনোধনের জায়গা।
মাদক থেকে মুক্ত হয়ে খেলাধুলায় ফিরে আসুক ছেলেরা সেজন্য একটা সুন্দর মাঠ থাকবে। যেখানে ছেলেরা খেলাধুলা করবে। তরা সময় কাটাবে। সেইজন্যই ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল স্যার ২০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এ মাঠটি নির্মিত করেছেন। কিন্তÍু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা যারা মাঠে বিভিন্ন জিনিসপত্র,গাছপালা রেখে ছেলেদের খেলাধুলার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এবং মাঠটিকে বেদখল করে রাখে। যার ফল আজকে মাঠটিকে বিনষ্ট করা। যাতে করে ছেলেরা এখানে খেলাধুলা করতে না পারে। এটা একটা ঘৃনিত কাজ। আমি এর তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।
পাশাপাশি এর সাথে জড়িতদেরকে আইনের আনারও দাবী জানাই।চান্দ্রাকান্দি গ্রীণ ক্লাব এর ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল বলেন, স্কুলের ছাত্রদেরকে মানসিক ও শাররিকভাবে বিকাশ ঘটানোর জন্য সমাজ সেবক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউয়াল সাহেব এই মাঠটি তৈরি করেন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাছের জাকের ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন গাছ ও গাছের ঢালা রেখে খেলার মাঠটি বেদখল করে রেখেছে। তাদেরকে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। ওই প্রতিবাদ জানানোর দুই দিন পরেই আমাদের খেলার মাঠ বিনষ্ট করে দিয়েছে।
যার কারণে গত তিন দিন ধরে আমাদের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, খেলাধুলা শুরু মাদক থেকে দূরে রাখেনা, শারিরিক,মানসিকভাবে ভিট থাকতে পারি। এখানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলো খেলতে আসে। খেলাধুলা করলে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব,ভাতৃত্ববোধ,সম্পৃতি বোধ সৃষ্টি হয়। সামগ্রিকভাবে আমাদের উপকার করে। যারা আমাদের এই খেলার মাঠ বিনষ্ট করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
কালিপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ মাইনউদ্দিন চৌধুরী বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী এই চান্দ্রাকান্দি খেলার মাঠটিকে ক্ষত-বিক্ষত, বা বিনষ্ট করা হয়েছে। যা অত্যান্ত নিন্দনীয় ও ঘৃহিত কাজ।আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এ ধরনের ঘৃনিত ও ন্যাক্কার জনক কাজটি করেছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত।
খেলাধুলা মানুষের সুস্থ্য বিনোধনের একটি অন্যতম উৎস। যারা এই সুস্থ বিনোধনের উপর আঘাত করে আমি মনে করি তারা দেশ ও জাতির শ্রত্রু। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাস্তি দাবী করছি।