প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেছেন, ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য। নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার
ক্ষমতায় নিতে হবে। এতে কোনো ভুল করা যাবে না।
অন্যথায় পুরো দেশকে তারা (বিএনপি-জামায়াত জোট) ধ্বংস করে ফেলবে। সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপ বলেন,বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে ধ্বংস করতে দেননি। তাই নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ এক সুতোয় গাঁথা।
তিনি ছিলেন বাঙালির প্রাণের নেতা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট আমরা হারিয়েছি শ্রেষ্ট সম্পদ বঙ্গবন্ধুকে। শোষকের হাত থেকে দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াত জোটকে ইঙ্গিত করে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, এরা মানুষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে, হত্যার রাজনীতি করে। এটা আমরা হতে দেব না। এসময় তিনি মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে একতাবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রূপকার।
তিনি বাংলাদেশি জাতির পিতা। ১৫ আগস্ট এলেই এদেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে রক্তক্ষরণ হয়। কারণ এই দিনে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীর কোনো দেশে বা রাষ্ট্রে এ ধরনের ন্যক্কারজনক,বর্বরতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। দিপু চৌধুরী বলেন, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছে, তারা কারা, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড খুনি জিয়াউর রহমান।
তার ইন্ধনে দেশি- বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, এই আগস্ট মাস এলেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মধ্যে কী ধরনের কষ্ট হয়, যন্ত্রণা হয় তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে, অনুধাবন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় আসে ৩রা নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ড। সেদিন জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করা হয়।
ওইদিন আমার বাবাও জেলে ছিলেন। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই প্রেতাত্মা – বিএনপি-জামায়াত-তারেক জিয়া মিলে ষড়যন্ত্র করল, ওইদিন শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার। আওয়ামী লীগকে নেতৃ ত্বশূন্য করার। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে। সেদিন আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। কিন্তু শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেন। আর তিনি না থাকলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থাকত না।
আমার বাবাও সেদিন নেত্রীর সঙ্গে ট্রাকে ছিলেন। সেদিন তিনি মারা গেলে মতলবের উন্নয়নের রূপকার মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম থাকতেন না আর আমি হয়ে যেতাম এতিম। কিন্তু আল্লাহ বাঁচাইছেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নি-সন্ত্রাস, হত্যা-খুন, ষড়যন্ত্র দিয়ে তারা ক্ষমতায় গেছে পিছনের দরজা দিয়ে। জনগণের কোনো ম্যান্ডেট তারা নেয়নি। সামরিক শক্তির মাধ্যমে তারা দল গঠন করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মুখে জনগণের কোনো কথা নাই, জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো কথা নাই; তাদের শুধু একটাই কথা – শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে তারা কীভাবে দেশ চালাবে, দেশের উন্নয়ন করবে – তা নিয়ে তাদের কোনো কথা নাই। তিনি আরো বলেন, এটা কি মগের মুল্লুক! এদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণেই আজকের এই বাংলাদেশ। পাকিস্তান থাকলে এদেশবাসী কেউ মেজরের ওপর কোনো পদ পেত না।
কিন্তু আজকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে সব জায়গায়, সচিব- আমলা, সব কিছু আমরা পাইছি। আর এর পেছনে সব অবদান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু বলেন, বিএনপি যতদিন ক্ষমতায় ছিল মতলবে কোনো উন্নয়ন হয়নি। আমার বাবা দুইবার এমপি ছিলেন, দুইবার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি এই এলাকায় সব ধরনের উন্নয়ন করে গেছেন। তিনি বলেন, সবাইকে প্রস্তÍুত হতে হবে আগামীবারের জন্য, কারণ আমরা আবারও আসছি।
জননেত্রী শেখ হাসিনা গতবারও আমার বাবাকে নমিনেশন দিয়েছিলেন। কিন্তু দুদিন আগে নমিনেশন পরিবর্তন হয়। হয়তো দলেরই প্রয়োজনে। আসলে নেতা অনেক বড় মাপের, খেলা অনেক বড় মাপের, তাহলে বড় খেলাই খেলতে হইব। সব এক হোক – বিএনপি, জামায়াত, আমাদের ঘরের শত্রুরা। শুধু আপনারা বলেন, আপনারা প্রস্তুত আছেন কি না। মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধানের সভাপতিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগেরb = সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইলিয়াছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু রাদেশ্যাম সাহা, আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রিয়াজুল হাসান রিয়াজ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, সদস্য হাসান মোর্শেদ আহার চৌধুরী,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, মোহনপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম তফাদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লায়ন ইকবাল হোসেন জুয়েল, মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বদিউল আলম তফাদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ জহির রায়হান, এসএম\ নোমান দেওয়ান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক হাওলাদার মামুন, উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক শাহিন চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ নেতা আমির হোসেন কালু, খোরশেদ আলম, মোঃ নাজমুল
হাসান, মৎস্যজীবিলীগ নেতা শাহিন সরকার,দূর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইউসুফ জামিল, মোঃ ওয়াশীম নিলয়,উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন,সদস্য জোবায়ের আহম্মেদ জনি, ছাত্রলীগ নেতা সাব্বিুর তফাদারসহ মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।