প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোডে ঢাকার প্রবেশমুখে গত ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ এবং অনুপস্থিত ছিলেন সেইসব নেতাদের চিহ্নিত করতে শুরু করেছে বিএনপির হাইকমান্ড।ব্যর্থ ও অনুপস্থিত নেতাদের চিহ্নিত করে শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র ।
আর এতে করে পদ হারানোর আতঙ্কে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল বেশ কিছু নেতা।দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা নিশ্চিত করে বলেন, সেইদিন চিটাগাং রোডে দলীয় কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ ও অনুপস্থিত নেতাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে নিজের বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে চিটাগাং রোডের সেদিনের ঘটনার ভিডিও চিত্র সংগ্রহের পাশাপাশি কার কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।এতে করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক দায়িত্বশীল গুরুত্বপূর্ণ নেতা পদ হারানোর আতঙ্কে আছেন। সেইদিন চিটাগাং রোডের অবস্থান কর্মসূচিতে সফলে অনুপস্থিত ছিলেন না এমন নেতারা পদ বাঁচাতে তদবির শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রে।এদিকে সেইদিন বিএনপির এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার প্রবেশমুখ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জস্থ চিটাগাং রোড মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র নেতৃত্বে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের দস্তাদস্তি ও সংঘর্ষের ঘটনা।
এই ঘটনা পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও রাবার বুলেট নিক্ষেপসহ গুলি ছোড়ে এতে করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০জনের মতো আহত হয়েছিলেন।সেই সংঘর্ষ ও লাঠিচার্জের আঘাতে আহত হয়েছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু এবং গুরুত্বর আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু।সেই সময় আটক করা হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ ৭জনকে।
পরবর্তীতে সাখাওয়াত হোসেন খানকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা দায়ের করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মহানগর বিএনপি সেইদিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় হাইকমান্ডের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।আর সেইদিন গত ২৯ জুলাই শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চিটাগাং রোডে কেন্দ্র ঘোষিত দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে রাজপথে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে।
দলীয় এমন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে সেইদিন তাদের দুজনেই ছিলেন অনুপস্থিত এবং রাজপথের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের প্রতি নাখোশ হাইকমান্ড।এমনকি দেখা যায়ি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সোনারগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদের অনেক নেতাকেই।
অতি শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে চলেছেন হাইকমান্ড। এমনটাই জানা গেছে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাদের সূত্রে।তবে সেইদিন বিএনপির এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার প্রবেশমুখ সিদ্ধিরগঞ্জস্থ চিটাগাং রোড মহাসড়কে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদকে। সেইদিন আজাদকে ছাড়া কেন্দ্রীয় কোনো নেতাকে চিটাগাং রোডের মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।