প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃনিউজ ডেস্ক:সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের বাজারে আগুন। পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেড়ে চোখ ঝাপসা হচ্ছে নিম্নবিত্ত ক্রেতাদের। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ওঠা নামা করলেও এ সপ্তাহে নতুন করে অস্বস্তির হয়ে উঠেছে বাজার। নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের খাদ্য তালিকার প্রথম ভরসাই ডিম। সেই ডিমের হালিতেও বাকি রইল না হাফ সেঞ্চুরি। ফলে ডিম কিনতে এসে হাত সরিয়ে নিতে হচ্ছে ক্রেতাসাধারণদের।
এতে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই। এদিকে অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। রংপুর সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা ফয়জার আলী বলেন, সারাদিন কাজ করিয়া হাজিরা পাই ৪০০-৪৫০ টাকা। পরিবারে ৭ জন লোকসংখ্যা। শুক্রবার মাছ, মাংস খাইতে না পারলেও ডিম কেনা লাগে ২ হালি। ডিম কিনতে আসি দেখি ৫০ টাকা হালি। ১০০ টাকা ডিম কিনতেই যায় বাকি খরচ করিম কি দিয়া।
এখন দেখি সব কিছুর দামেতে ডিম খাওয়াও বাদ দেয়া লাগে। ২ হালির জায়গায় ১ হালি ডিম কিনলাম। কি আর করার ছেলেমেয়েদের মুখেতো দিতে হবে।ডিম কিনতে এসে হাত সরিয়ে ঘুরে যাওয়া ক্রেতা মতিয়ার বলেন, ৫০ টাকা হালি ডিম কিনলে বিক্রি করবো কয়টাকা। আমাদেরকেও তো পোষাতে হবে। তাই এক পাইকারের কাছে কিনতে পারলাম না বাজারে কয়েক জায়গায় ঘুরে দেখতে হবে। বুদ্ধি নাই আমাদের মত ছোটখাটো মানুষদের।
ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সিটি বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া বলেন, খাদ্যের দাম বেশি, হঠাৎ করেই গরম উৎপাদন কম থাকায় ডিমের দাম বেশি। অধিকাংশ খামারিরা খামার বাদ দিয়েছে তাই উৎপাদন কম। বাজারে ডিমের চাহিদা কম থাকায় দাম আকাশচুম্বী। রংপুরে প্রায় ৫ লাখ ডিম হলে চাহিদা পূরণ হয় সেখানে যোগান অর্ধেকেরও কম। তাই এই অবস্থা। এদিকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা। এতে চাহিদার তুলনায় কম কিনতে পেঁয়াজ।
অনেকেই দাম শুনে আরও ঊর্ধ্বগতির ভয়ে হাঁসফাঁস খাচ্ছেন।ভারতে পানির কারণে পেঁয়াজ আসছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম এবং ভালো পেঁয়াজের আমদানি না থাকায় হঠাৎ করে আবার দাম বাড়তি। এই অবস্থায় কতদিন থাকবে বা দাম কমবে কি না তা এখনো বলা যাচ্ছে না। বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি আছে কিন্তু বিক্রি কম। কেননা দাম কম থাকলে বেশি করে কিনে ক্রেতা সেখানে কম করে কিনছে।
এমনটাই বলেন পেঁয়াজ বিক্রেতারা।বাজারে সবজিতেও নেই স্বস্তি। চারিদিকে পানির অজুহাতে প্রতিটি সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা কেজিদরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগিতে ২০ টাকা কমলেও কমেনি মাছের দাম। ভরা পানির মৌসুমেও বাড়তি মাছের দাম এমনটাই অভিযোগ করছেন ক্রেতারা।নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ হোক, ক্রয়ক্ষমতার নাগালেই থাকুক এই প্রত্যাশা সকলের।