প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্র। সঙ্গবদ্ধ চক্রটি মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন ও পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে মাসে কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ জানা গেছে। জানা গেছে।
মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম ও সাহেবপাড়া এলাকার বরিশাইল্লা আসলামের নেতৃত্বে সাহেবপাড়া,মিতালী মার্কেট, মৌচাক ও সাইনবোর্ড এলাকায় চলছে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও জুয়ার আসর।রাস্তা থেকে বিভিন্ন লোকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে এবাহিনীর বিরুদ্ধে। কামরুল ইসলাম ও আসলাম বাহিনীর সদস্যরা হলো- মনির, রোকন, লিটন, বাছেদ, সেলিম ও সোহাগসহ ২৫ থেকে ৩০ জন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে চক্রটি সাহেবপাড়া বাজার থেকে মাসে দেড় লাখ, ৬ হাজার টাকা করে প্রো-অ্যাকটিব হাসপাতালের ৬ টি অ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসে ৩৬ হাজার, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পার্কিং করে রাখা লাব্বাইক, লাভলী, অনাবিল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান থেকে গাড়ি প্রতি দৈনিক ২০০ টাকা করে ২ শতাধিক গাড়ি থেকে মাসে প্রায় ১২ লাখ, সাইনবোর্ড সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক ৯ হাজার করে মাসে ২ লাখ ৭০ হাজার, মহাসড়কের উত্তর পাশে বিভিন্ন পরিবহন টিকিট কাউন্টার থেকে ৫ হাজার করে মাসে দেড় লাখ, অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ভাড়া দিয়ে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করছে।
এছাড়াও মিতালী মার্কেট, সাহেবপাড়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিডিকে সিএনজি পাম্পের দক্ষিণ পাশে মাদকের আস্তানা, আনন্দলোক উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় একাধিক মাদক স্পট নিয়ন্ত্রন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। এচক্রের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল মোহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাই করার অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, কারা চাঁদাবাজি করে আমার জানা নেই। তদন্ত করে সত্যতা পেলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।