প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে চাচা-ভাতিজাসহ ৫জনকে হত্যার চেষ্টায় নৃশংসভাবে কুপিয়েছে শাহ আলম,টুকুন,জানে আলম,রোহান,মিজান,মাসুদ,শারমিন ও শ্যামল গং। গতকাল রাতে থানার দক্ষিণ লক্ষনখোলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হচ্ছেন লক্ষণখোলা এলাকার আলী আহাম্মদের ছেলে রুবেল(৩২),তার চাচা হৃদয়(২৫),নূর আলম(২৪),ছোটভাই পারভেজ(২৪) ও পাভেল(২০)। আহতদের মধ্যে পারভেজকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এবং পাভেলকেনারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়,লক্ষনখোলা এলাকার আলী আহাম্মদের ছেলে রুবেলের সঙ্গে একই এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে শাহ আলম ও ছোট ছেলে টুকুনের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেল ৪টায় শাহ আলম ও টুকুনসহ তাদের সহযোগী যথাক্রমে শাহ আলমের ছেলে রোহান,কাদিরের ছেলে জানে আলম,খলিলের ছেলে মিজান,শওকত আকবরের ছেলে মাসুদ,জুলহাসের ছেলে ইমু,বাতেনের ছেলে শ্যামল ও শ্যামলের স্ত্রী শারমিন গং ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র হাতে নিয়ে স্থানীয় বাবুল মিয়ার বাংলো বাড়ির সামনে দাড়িয়ে রুবেলকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
রুবেল এর প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে বেদম মারপিট করে। রুবেলকে মারধর করতে দেখে তার চাচা হৃদয়,নুর আলম,পারভেজ ও পাভেল এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চড়াও হয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের এলোপাতাড়ি অস্ত্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই পারভেজ ও পাভেল গুরুতর জখম হয়।
আহতদের ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এলে অবস্থা বেগতিক বুঝে হামলাকারীরা পারভেজের সঙ্গে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে। পরে উপস্থিত লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গুসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।