প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরে গ্রামীণ প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনেষ্টিক সেন্টারের ভুল অপারেশনে বিথী খাতুন নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বিথী খাতুন বজরাপুর গ্রামের আলী কদরের মেয়ে।
পরিবারের অভিযোগ ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করায় এ ঘটনা ঘটেছে। পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেও ডাক্তারের ভুল অপারেশনে মারা গেছেন মা বিথী খাতুন। বিথী খাতুনের পিতা আলী কদর জানান, মেয়ের প্রসব ব্যাথা উঠলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাশ^বর্তী খালিশপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের মালিক জুলফিক্কার আলী নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না মর্মে সিজার করাতে বলেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপারেশন শুরু করেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও অপারেশন শেষ না হওয়ায় সন্দেহ হলে জোর পূর্বক অপারেশন রুমে গিয়ে দেখেন রোগী অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। ডাক্তারের স্থানে দুইজন জোরে জোরে বিথী খাতুনের বুকে চাঁপ দিচ্ছেন। পরবর্তীতে বিথী খাতুন মারা গেলে নাটকের জন্ম দেন হাসপাতাল মালিক জুলফিক্কার।
তিনি বলেন এখনই রোগীতে যশোর হাসপাতালে নিতে হবে। জুলফিক্কার নিজেই এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেরোগীকে এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে তোলেন। রোগীর সাথে ওই এ্যাম্বুলেন্সে উঠেন সিজার করা দুই ডাক্তার ও জুলফিক্কার নিজেই। যশোর নেওয়ার পথে কোঁটচাদপুরে পৌছালে কৌশলে এ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে ডাক্তার পালিয়ে যান। এর কিছুক্ষন পরে চৌগাছা পৌছালে রোগীর স্বজনরা বুঝতে পারেন ওই হাসপাতালেই তাদের রোগী মারা গেছেন।
বাকি টুকু হাসপাতাল মালিক জুলফিক্কারের নাটক মাত্র। অভিযুক্ত হাসপাতাল মালিক জুলফিক্কারের ব্যবহারিত ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত ডাক্তার মাসুদ রানা জানান, অপারেশন করার পর রোগীর পেশার নিচে চলে আসে। সে কারনেই রোগী হাডএ্যাটাকে মারা গেছে। এসবিকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফান হাসান চৌধুরী নুথান জানান, ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশনকরানোয় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ মাহামুদ বিন হেদায়েত (সেতু) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ডাক্তার মাসুদ রানার সকল কাগজপত্র আনতে বলেছি। কিন্তু তিনি আসছি বলে কোন খবর নেই। ডাঃ মাহামুদ বিন হেদায়েত (সেতু) আরো বলেন আমি আমার আইন গত যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার আমি নিচ্ছি।