প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্মাণাধিন সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দশপাইপ ড্রাম্পিং এলাকায় বিনোদনের নামে চলছে মাদক বেচা কিনা ও জুয়াড়িদের মিলন মেলা। চলে অনৈতিক কার্যকলাপ। প্রতিদিন বিকেলে ড্রাম্পিং এলাকায় হাজার হাজার দর্শনার্থী আসা যাওয়ার সুযোগে
একটি চক্র থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
জানা গেছে, জালকুড়ি বিলে বিশাল জায়গা জুড়ে নির্মাণ হচ্ছে ময়লার ড্রাম্পিং। ফলে এলাকাটি সৌন্দর্যবর্ধন হয়ে উঠেছে। খোলামেলা স্থান ও একাধিক জলাশয় থাকায় শীতল বাতাসে একটু ঘুরে বেড়াতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে। এসুযোগ কাজে লাগিয়ে এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকান, কনফেকশনারী, মিনি চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট ও খুপড়ি রিসোর্ট। জলাশয়ে চলে ডিঙি নৌকা।
প্রেমিক প্রেমিকাদের একান্ড সময় কাটানোর জন্য বানানো হয়েছে ছোট ছোট খুপড়ি ঘর। যা রিসোর্ট বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ উঠেছে, মিজমিজি এলাকার আল-আমিনের নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ একটি চক্র এখানে বিনোদনের নামে বসিয়েছে মেলা। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য মেলায় বসানো হয়েছে, নৌকা দোলা, নাগর দোলা, চরকি। প্রতিটির টিকিট ৩০ টাকা। বাসনো হয় জুয়ার আসর।
সন্ধ্যার পর দর্শনার্থীদের ভীর কমে যাওয়ার পরই বাড়তে থাকে মাদক সেবীদের আনাগুনা। এছাড়া এখানে অহরহ ছিনতাইর ঘটনাও ঘটছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, থানা পুলিশ মেলায় হানা দিয়ে জুয়াড়িদের আটক করলেও পরে আয়োজকদের সাথে রফাদফা করে ছেড়ে দেয়।
ফলে মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িরা কাউকে তুয়াক্কা করছেনা। জানতে চাইলে আল-আমিন বলেন, শুধু বিনোদনের জন্য থানা পুলিশের সাথে কথা বলে মেলা বসানো হয়েছে। পুলিশ হানা দেওয়ার পর থেকে জুয়া খেলা বন্ধ রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বেআইনি কিছু হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।