প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ গৌরীপুরে সন্তানকে বিষ মেশানো ফল খাইয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। শিশুটি বর্তমানে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিশুটির মা আইরিন আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ছয়গণ্ডা মহল্লায়।
থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের পল্টিপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের মেয়ে আইরিন আক্তারের সঙ্গে বোকাইনগর ইউনিয়নের কাউলাটিয়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমানের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই মাস আগে হাবিবুর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর থেকে আইরিন দুই সন্তান লাবিব শাহরিয়ার (৬) ও সামিয়া তাসনিমকে (১১) নিয়ে ছয়গণ্ডায় বাবার বাসায় থাকেন।
ঘটনার দিন হাবিবুর রহমান দ্বিতীয় স্ত্রী পান্না বেগমকে নিয়ে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যান। এ সময় আইরিন টিউশনি করতে পাশের বাসায় গিয়েছিলেন। হাবিবুর ও পান্না লাবিবকে আপেল ও জাম খেতে দেন। আপেলের কিছু অংশ খাওয়ার পর লাবিব বমি করতে থাকে। এ সময় সামিয়া দ্রুত তার মাকে খবর দিতে ছুটে যায়। আইরিন বাসায় গিয়ে দেখেন, লাবিব প্রচণ্ড বমি করছে। তখন হাবিবুর ও পান্না পালিয়ে যায়।
গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজেন্দ্র দেবনাথ বলেন, শিশু লাবিবকে রাত ৯টায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় শারীরিকভাবে সে ভীষণ দুবল ছিল। শিশুটির দেহে বিষের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে, তাকে ভর্তি করে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এখন সে বিপদমুক্ত।
তিনি আরও জানান, বিষ মেশানো ফল খাওয়ার পর বমি হওয়ায় শিশুটি বেঁচে গেছে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে হাবিবুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে তিনি কেটে দেন। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার রাতে শিশুটির মা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।