প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর এবং ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনকে সংগঠন থেকে সাময়িক অব্যহতি দিয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) ড. রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অব্যাহতি দেয়ার কথা বলা হয়। হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে নুরের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদের গঠনতন্ত্র, ২১ দফা কর্মসূচি, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং মূলনীতি বিরোধী কাজ করা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান, মানি লন্ডারিং আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা, ইসরাইলসহ বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সভা আয়োজন ও অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনোনয়ন করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মো. নুরুল হককে (ভিপি নুর) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হলো।
একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করায় কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির ১নং যুগ্ম আহবায়ক মো.রাশেদ খাঁনকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হলো। উভয়কে দলের দফতর বরাবর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হলো।বিজ্ঞপ্তিতে রেজা কিবরিয়া উল্লেখ করেন, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে তিনি সাংগঠনিক ক্ষমতাবলে পরবর্তী নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সদস্য সচিব হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও অধিকার পরিষদের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা হাসান আল মামুনকে (মো. আল মামুন) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করেছেন।
দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আন্দোলন বেগবান করার জন্যও নির্দেশ দেন রেজা কিবরিয়া।অবশ্য, এর আগে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে ড. রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দেয় নুরুল হক নূরের অনুসারীরা। আর সংগঠনের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁনকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে তারা।সোমবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় রেজা কিবরিয়াকে সরানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিন রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দফতর সমন্বয়ক শাকিল উজ্জামান।তবে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ড. রেজা কিবরিয়া। তাকে সরিয়ে দেয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই এবার নুর-রাশেদকে সরিয়ে দিলেন তিনি ও তার অনুসারীরা। এর মধ্য দিয়ে দুই গ্রুপে বিভক্ত হলো গণঅধিকার পরিষদ।