প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আজ ভোট চুরি ও পেশীশক্তির অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদ করায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাঁর উপর পাশবিক হামলা চালায়। শায়েখে চরমোনাইর উপর রক্তাক্ত হামলা সরকার পতনের আন্দোলনকে সুদূরপ্রসারী করল। সরকারের বিদায়ী ঘণ্টা বাজল।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে শায়েখে চরমোনাইর উপর হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ১২ জুন সোমবার বাদ আসর ডিআইটি চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ সভাপতির বক্তব্যে উপর্যুক্ত কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহা. জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি আবুল বাশার খান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি মুহা. যোবায়েরে হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সহ-সভাপতি যথাক্রমে মুহা. ওমর ফারুক ও মোস্তফা তালুকদার।
ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুফতি আব্দুল হাকিম আদ দিফায়ী। আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি সাইফুল ইসলাম জেলার জয়েন্ট সেক্রেটারি আমান উল্লাহ আমানসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড শাখার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলা সভাপতি মাও. দ্বীন ইসলাম বলেন, জনগণের ভোট চুরি করে অবৈধভাবে স্বঘোষিত সরকারের নিকট এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনা ছাড়া ভাল কিছু আশা করা যায় না।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, আমাদের শায়েখের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি না দেওয়া হয় এবং ভোট নিয়ে কোন কারচুপি করা হয় তাহলে পীর সাহেব চরমোনাইর নির্দেশে যেকোন কঠোর কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হব। তখন অবৈধ সরকারের মসনত ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। আমরা শান্তিপূর্ব থাকতে ভালবাসি। কিন্তু যদি মৌচাকে ঢিল মারেন, তাহলে কারো রেহাই হবে না। পরবর্তীতে যেকোন আন্দোলনে সকল নেতাকর্মীকে স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান।