প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ মোঃ মাহফুজুর রহমান,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ গৌরীপুরে তীব্র গরমে একটুখানি স্বস্তি পেতে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনে খাচ্ছে। তালের নরম কচি শাঁস খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তীব্র গরমে বর্তমানে এর চাহিদাও বেড়েছে। দামে সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় মধু মাসের এই ফল মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকে এই মৌসুমে।
উপজেলা পৌর শহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্রেতারা এখন বিক্রি করছেন তালের শাঁস। এমনকি কোনো কোনো পাড়া-মহল্লায় ভ্যানযোগে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। উপজেলার পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের হারুন পার্ক মোড়ে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনছে। তাল শাঁস বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, প্রতি বছর এই মাসে বিভিন্ন গ্রামে থেকে তিনি তাল কিনেন।
পরে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় তা বিক্রি করেন। প্রতি বছরই এ সময় তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালান। বৈশাখ মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পযর্ন্ত চলে তালের শাঁস বিক্রি। মধ্যবাজার মাছ মহাল মোড়ে তালের শাঁস বিক্রি করছেন সিদ্দিক মিয়া। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম থাকায় তাল শাঁসের বিক্রি বেড়েছে। প্রতিটি তালের শাঁসের পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
প্রতি বিক্রেতা প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকার তাল শাঁস বিক্রি করে থাকে। কচি তালের শাঁসের গুনাগুন জানতে চাইলে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ নাসের বলেন, তালের শাঁসে বেশির ভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় মানুষের শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
তীব্র গরমের কারণে মানুষের শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায় সেটিও পূরণ করতে পারে। তাছাড়া তালের শাঁস শরীরকে দ্রুত শীতল করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও বের করে দেয়। এই গরমে সবারই তালের শাঁস খাওয়া উচিৎ বলে জানান এই কর্মকর্তা।