প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ নিজস্ব সংবাদদাতা: সারা দেশের সবার চোখ এখন গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ফলাফলের দিকে।কে হচ্ছেন গাজীপুরের নগরপিতা। ভোটের প্রাপ্ত ফলাফলে এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের চেয়ে ১০ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৩ কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে।
এই কেন্দ্রগুলোতে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৮০০ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৫ভোট।বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।এর আগে, সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করেন ভোটাররা। নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল না প্রার্থীদের।সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ছিল ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।
বিশেষ করে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে দুপুরের দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়।নগরে এই প্রথম ইভিএমে ভোট হয়। এ প্রযুক্তির সঙ্গে অনেক ভোটারই অপরিচিত। যে কারণে অনেক কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণে ছিল ধীরগতি। বিশেষ করে নারী ও বয়স্করা কিছুটা জটিলতায় পড়েন। তবে তরুণরা স্বাচ্ছন্দ্যেই ভোট দিয়েছেন।গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৩৩২ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৮ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করলেও নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতায় কোনো কমতি রাখেনি নির্বাচন কমিশন।এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ এরশাদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম।
এছাড়া স্বতন্ত্র মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।