প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ জেলা সংবাদদাতা:নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে আবারও হামলার শিকার হয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনে দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রতিপক্ষের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।শনিবার (২০ মে) বিকেল পাঁচটার দিকে টঙ্গী পূর্ব বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গণসংযোগে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাদের পথ আটকে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম টঙ্গীর মধুমিতা রোড, আরিচপুর, বউবাজার ও জামাই বাজার এলাকায় প্রচারণা শেষ করে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ করে। এ সময় ওই ওয়ার্ডে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের বাড়ির কাছে গরুহাটা এলাকায় গেলে নৌকার মিছিল নিয়ে বেশ কিছু লোক টেবিল ঘড়ির প্রার্থী ও কর্মীদের ঘিরে ফেলে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘিরে নৌকার লোকজন মিছিল করতে থাকে।
এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।স্থানীয় সূত্র জানায়, নৌকার মিছিল টেবিল ঘড়ির মিছিলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেললে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আতঙ্কে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ জায়েদা খাতুন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় ও তাদের গাজীপুরে নিজ বাসায় পাঠিয়ে দেয়।এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষ থেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগের কেউ কোনো হামলা করেনি। এটি জাহাঙ্গীরের নাটক।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী বউবাজার হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দিকে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে তাদের সামনে নৌকা প্রতীকের একটি মিছিল পড়ে। এ সময় মিছিলের কিছু উৎসুক লোক তাদের পথ আটকে দেয়। একপর্যায়ে কয়েকজন তাদের গাড়ির কাচ ভাঙে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশি পাহারায় তাদের বাড়িতে যেতে সহযোগিতা করে পুলিশ।