প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কুমিল্লা সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।শুক্রবার (১৯ মে) জুমার নামাজের পর মসজিদের সামনেই আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
নিহত এনামুল আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনেই মাটিতে ফেলে গলায় ছুরি চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়।
বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল মারা যান। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল অভিযোগ করে বলেন আওয়ামী লীগের কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন এনামুল। কাজী জহির গং দীর্ঘদিন ধরে এ মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করছিল।এছাড়া গত বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুলকে দায়ী করে। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আজ জুমা পড়ে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুলসহ জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এনামুলের গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করে। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান।
তবে কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. কামরুজ্জামান সোহেল বলেন কাজী জহির কখনো জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। দলীয় বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ের সে যায়, সেসবের ছবি তার ফেসবুকে আছে। সে স্থানীয় নেতা আবুল হোসেন গ্রুপের অনুসারী। মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছে।
জামায়াতের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।