প্রেসনিউজ২৪ডটকমঃ কামাল হোসেন খান,মতলব প্রতিনিধি ঃ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রস্তÍুত রাখা হয়েছে ১৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করতে শনিবার সকাল থেকে ট্রলারে করে এবং নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অটোবাইক গাড়িযোগে
চাঁদপুরের মতলবের মেঘনা,পদ্মা,ধনাগোদা নদীর তীরবর্তী এলাকা এবং বিভিন্ন চরে গিয়ে মাইকিং করে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা
চালিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ-পুলিশ। প্রচারে সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
এর পাশাপাশি গবাদি পশুসহ মালামাল নিরাপদে রাখা এবং প্রয়োজনে নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে বলা হয়।
এ সময় নদীতে কেউ যেন মাছ ধরতে না যায় সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়। শুক্রবার ১২মে বিকাল থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলার নদী তীরবর্তী মাছঘাট, জেলে পল্লী, লঞ্চঘাট এবং যাত্রীবাহী লঞ্চে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করে সকর্ত করা হয়েছে। মতলব উত্তর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যাার হাউস ইন্সপেক্টারজাকির হোসেনের নেতৃত্বে ও সচেতনামূলক মাইকিং করা হয়েছে।
প্রচারণা শেষে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ অঞ্চল। প্রকৃৃতির সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেই আমাদের বেঁচে থাকা। প্রায় প্রতি বছরই ছোট-বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিয়েই আমাদের পথচলা। আমরা সবদিক থেকেই প্রস্তÍুত আছি। প্রতিবারের মতো ইনশাল্লাহ, এবারও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে পারব। ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে আমরা নৌ-পুলিশ
ফাঁড়ির সদস্যরা সক্রিয়ভাবে লঞ্চঘাট ও উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তÍুত রয়েছি।
একইসঙ্গে লঞ্চ ও ছোট নৌযানগুলোকে নিরাপদে থাকতে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃক জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক সমন্বয়সাধনের জন্য জরুরি নম্বর- দ্বারা ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদানকরা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সামদ্রিক ঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ থেকে মতলব উত্তর বাসীকে রক্ষার্থে আমরা শুক্রবার থেকে আজকে শনিবার পর্যন্ত মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির তরফ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।